নিজস্ব প্রতিবেদক: একই নাম হওয়ায় প্রকৃত আসামির পরিবর্তে সুমন হোসেন নামে যশোরের একজন ব্যক্তি বিনাদোষে কারাভোগ করছেন। গত ২১ আগস্ট ১৯টি মামলার ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সুমন হোসেন অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া দক্ষিণ এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
সুমন হোসেনের বোন শারমিন আক্তার জানান, প্রকৃত আসামির নাম মো. সুমন। তিনি অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার না করে একই নাম হওয়ায় গত ২১ আগস্ট তার ভাই কয়লা ব্যবসায়ী সুমন হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন এসআই নিয়ামুল হোসেন। মো. সুমন একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলার সাজায় ওয়ারেন্টসহ ১৯টি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। পুলিশ মো. সুমনের ওই ১৯টি মামলার ওয়ারেন্টে তার ভাই সুমন হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। এ কারণে তারা আইনজীবীর শরণাপন্ন হন। গত ২৫ আগস্ট তাদর আইনজীবী মোজাফ্ফর উদ্দিন মোহন বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতের নজরে আনেন।
অ্যাডভোকেট মোজাফ্ফর উদ্দিন মোহনের সহকারী পারভেজ আলম জানান, প্রকৃত আসামি মো. সুমন ইতোপূর্বে বিভিন্ন মামলায় আটক হয়ে কারাভোগ করেছেন। কারাগারে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকের ছবি তুলে সংরক্ষণ করে রাখে। এ কারণে প্রকৃত সুমনকে শনাক্ত করার জন্য গত ২১ আগস্ট গ্রেপ্তার সুমন হোসেনের ছবি এবং ইতোপূর্বে গ্রেফতার মো. সুমনের ছবি নিয়ে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছিলেন বিচারক। এছাড়া অভিযুক্ত এসআই নিয়ামুল হোসেনকেও সমন ইস্যু করা হয়েছিলো। সোমবার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জানিয়েছেন, গত ২১ আগস্ট গ্রেপ্তার সুমন হোসেনের ছবির সাথে ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময় গ্রেফতার মো. সুমনের ছবির সাথে কোনো মিল নেই। অর্থাৎ দুটি ছবি একই ব্যক্তির নয়। তিনি বলেন, অভিযুক্ত এসআই নিয়ামুল হোসেনও তার ভুল স্বীকার করে সোমবার আদালতে লিখিতভাবে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
এসআই নিয়ামুল হোসেন প্রকৃত আসামির পরিবর্তে ভুল ব্যক্তিকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, সুমন হোসেনের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছেন।