কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধি : কপিলমুনিতে নির্মাণ বিপণী মালিক প্রভাবশালী বিপ্লব সাধু এবং ফাঁড়ি পুলিশের এসআই সাহাজুল কর্তৃক বরফ ব্যবসায়ীকে হুমকি ধামকি ও সর্বশেষ ২০ হাজার টাকা দাবির ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কপিলমুনি বাজারের বরফমিল মালিক বিধান বিশ্বাস এ সংবাদ সম্মেলন করেন। রোববার কপিলমুনি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিপ্লব সাধু ও পুলিশের এসআইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ এনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি কপিলমুনি বাজারের একজন ব্যবসায়ী, বাজারের উত্তর প্রান্তে আমার বরফকল প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসা রয়েছে। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন ও রানীকুঠিরের পাশে আমার নিজস্ব একখন্ড জমি রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন ফলজ বৃক্ষ রয়েছে। এরই পাশে কপিলমুনি বাজারের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নির্মাণ বিপনীর মালিক বিশ্বনাথ সাধুর পুত্র বিপ্লব সাধুর সাধুস্টীল কর্পোরেশনের ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর আমাকে না জানিয়ে বিপ্লব সাধুর নির্দেশে তার কর্মচারী ও নিজস্ব লোকজন আমার নিজ জমির সীমানায় লাগানো ৩টি মাঝারি সাইজের আমগাছ কেটে ফেলে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষকে জানালে বিপ্লব নিজের বেআইনি কাজকে সামাল দিতে এবং আমি কোন আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করছি কিনা এ আশঙ্কায় বর্তমানে পুলিশকে দিয়ে হয়রানি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টার দিকে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাহাজুল ইসলাম (সাজু) সঙ্গীয় ফোর্সসহ আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বরফ মিলে এসে আমাকে তাৎক্ষণিক পাইকগাছা থানার ওসি সাহেব ডেকেছে বলে যেতে বলেন। আমি এসআই সাহাজুলকে বলি ওসি স্যার আমাকে কোন বিষয়ে ডেকেছেন? তখন তিনি রাগান্বিত হয়ে কিছু না জানিয়ে আমাকে তাদের সাথে যেতে বলেন। আমি থানায় সাক্ষাতের জন্য একদিন সময় চাইলে এসআই সাহাজুল ফাঁড়িতে ফিরে যান। পরবর্তীতে বেলা ১ টার সময় এস আই সাহাজুল পুনরায় আমার বরফমিলে আসেন এবং আমাকে ধমক দেন। এক পর্যায় আমি সাহাজুল স্যারকে বলি ‘স্যার আমি কি অপরাধ করেছি, আমাকে ক্ষমা করেন’। তখন তিনি পাশে ডেকে নিয়ে বলেন, যদি তুমি বিশ হাজার টাকা দাও তবে আমি মেটাতে পারি। তোমাকে থানায় ওসি সাহেবের কাছে যাওয়া লাগবে না। এমন পরিস্থিতিতে আমিসহ আমার পরিবার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছি। যে কারণে বিপ্লব সাধুর অপকৌশল ও পুলিশের এসআই সাহাজুলের এহেন কর্মকাণ্ডের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।