পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছায় শুকুর আলী সরদার (৮৪) নামে অশীতিপর এক ব্যক্তি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় জেলহাজতে রয়েছেন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। সোমবার সকালে প্রেসক্লাব পাইকগাছার কার্যালয়ে তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা এই সংবাদ সম্মেলন করে।
প্রতিবেশী ও পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শুকুর আলীর ছোট বোন রাশিদা খাতুন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গদাইপুর গ্রামের বাসিন্দা শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী তৃষা মনিকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে আমার আপন বড় ভাই শুকুর আলী সরদার (৮৪) নামে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রকৃত ঘটনা হলো মামলার বাদী আফিয়া খাতুন এবং আসামি শুকুর আলী সরদার আপন ভাই বোন। দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাদী তার আপন ‘পুতনি’ বাক প্রতিবন্ধী তৃষা মনিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে এমন জঘণ্য কাজ করেছে। আফিয়া খাতুনের কোনো জায়গাজমি নেই। আমি তাকে আমার জমিতে ঘর নির্মাণ করে তার থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তারপর থেকে আফিয়া খাতুনের আসল চেহারা প্রকাশ পেতে থাকে। সে তার বাড়িতে দিনে-রাতে জুয়ার আসর, মাদকদ্রব্য সেবন ও বিক্রি করে। তার নাতি হোসাইন প্রতিবন্ধী তৃষা মণিকে ধর্ষণ করে এবং তৃষা মনি গর্ভবতী হয়। এ ঘটনা নিয়ে আমরা পারিবারিকভাবে বসাবসি করলে সে স্বীকার করে এবং বাচ্চার দায়িত্ব নিতে রাজি হলেও মামলা করার পরে বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ভুক্তভোগী বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কোনো কথা বলতে না পারার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আফিয়া খাতুন তাকে দিয়ে আমার বড় ভাই শুকুর আলী সরদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমার বড় ভাই শুকুর আলী সরদার একজন হার্টের রোগী এবং প্রচণ্ড ডায়াবেটিস রয়েছে। বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শুকুর আলী সরদার গত আড়াই মাস যাবৎ জেলহাজতে আছেন। থানা পুলিশের বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনের কারণে জামিনে বিলম্ব হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে মোঃ শুকুর আলী সরদারের পরিবার ও প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন।