বিল্লাল হোসেন : যশোরের ২ শতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হালনাগাদ লাইসেন্স নেই। এরমধ্যে ৫৫ টি আগেই সিলগালা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বাকি ২০১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনেকেই হালনাগাদ লাইসেন্স পেতে স্বাস্থ্য অধিদফতরে আবেদন করেছে। এরমধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক-সেবিকা, প্যাথলজিস্ট ও উন্নত চিকিৎসাসেবা পরিবেশ নেই।
সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় আজ রোববার থেকে যশোরের অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হতে পারে।
জানা গেছে, যশোর জেলায় মোট ৩০৯ টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে ক্লিনিক ১২০ টি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১৮৯ টি। খাতা কলমের বাইরে জেলায় আরও অর্ধশত ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। সেখানে পুরোপুরি অবৈধভাবে কার্যক্রম চলে আসছে। সূত্র জানায়, গত ২০২২ সালের ২৮ মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত যশোর জেলার ২২ টি অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বন্ধ ঘোষণা করা অবৈধ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, যশোর শহরের মুজিব সড়কে অবস্থিত পিস হসপিটাল ও এটির ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রোটারি হেলথ সেন্টারের প্যাথলজি ল্যাব, ঘোপ জেল রোডের এমসি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেন্ট্রাল হসপিটালের প্যাথলজি ল্যাব ও ভোলা ট্যাংক রোডের নুরুল ইসলাম ডায়াবেটিক সেন্টার, মণিরামপুর উপজেলার মডার্ন ক্লিনিক, রাজগঞ্জ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কপোতাক্ষ ক্লিনিক ,পারবাজার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বেনাপোল পৌর শহরে অবস্থিত বেনাপোল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, স্টার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ঝিকরগাছা উপজেলার ফেমাস মেডিকেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ছুটিপুর প্রাইভেট ক্লিনিক, আয়েশা মেমোরিয়াল মেডিকেল সেন্টার, মোহাম্মদ আলী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সীমান্ত ডায়াগনস্টিক এন্ড ডায়াবেটিস কেয়ার, ছুটিপুর প্রাইভেট ক্লিনিক, সালেহা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আনিকা ক্লিনিক, বাঘারপাড়া উপজেলার হাজি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এর আগে সাবেক সিভিলসার্জন শেখ আবু শাহীন বন্ধ ঘোষণা করেন ৪৪ টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। নিম্মমানের এসব প্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়ম ও ত্রæটির মধ্যে রোগীর অস্ত্রোপচার, চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হতো। অথচ মানসম্মত যন্ত্রপাতি বা ল্যাব টেকনোলজিস্ট ছিলো না কারো। ভাড়া করা চিকিৎসক দিয়ে অপারেশন করানো হতো।
এই বিষয়ে যশোরের সিভিলসার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, অভিযান বা পরিদর্শনে গিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলছে এমন তথ্য আমার জানা নেই।
তিনি জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা পাওয়ার পর অভিযান পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট চাওয়া হয়েছে। ম্যাজিস্টেট পেলে রোববার থেকে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। সরকারের নির্দেশনার বাইরে কাউকে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সুযোগ দেয়া হবে না।