উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫৩৬০ মেট্রিক টন, অভয়নগরে শসার বাম্পার ফলন

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগর উপজেলায় চলতি মৌসুমে শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষাবাদ খরচ কম ও বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় লাভবান হচ্ছে শসা চাষিরা। এ ছাড়া বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় অনেকেই শসা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। 

উপজেলার মাছের ঘেরের পাড়ে পানির ওপর মাঁচায় সবুজের সমারোহ মাঝে উঁকি দিচ্ছে হলুদ ও সাদা ফুল কিম্বা ঝুলন্ত শসা। অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শসা চাষ ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে উপজেলা জুড়ে শসা চাষের সম্ভাবনা হাতছানি দিচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ২৯৮ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৪ গুণ আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৩৬০ মেট্রিক টন।

শুভরাড়া ইউনিয়নের রানাগাতী গ্রামের শসা চাষি ইকরাম শেখ বলেন, ১৩ বিঘার ঘেরের পাড়ে শসা চাষ করেছি।  ফলন ভাল হয়েছে। চাষে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আশা করছি প্রায় ৩ লাখ টাকার শসা বিক্রি করতে পারবো।

সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের শসা চাষি আলামিন গাজী বলেন, শসার বাড়ন্ত গাছ মাঁচার ওপর ছড়িয়ে দেয়া হয়। এতে জায়গা কম লাগে ও অল্প পরিচর্যায় ভালো ফসল পাওয়া যায়। বীজ রোপণের ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে গাছের ফল ধরা শুরু হয়।

শসাচাষি রবিউল গাজী বলেন, শসা চাষে খরচ কম। উৎপাদন বেশি হয়। এ জন্য আমরা বেশি বেশি শসা চাষ করি।

অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা শসা চাষ সম্প্রসারণে প্রশিক্ষণ দেন। এটি চাষাবাদের কারিগরি বিষয়েও কৃষকদের ধারণা দেন তারা। এই উপজেলায় শসা চাষ সম্প্রসারণের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ঘেরের আইলে ও রাস্তার দু’পাশে যে জমি আছে সেখানে শসা চাষ করা যায়। উপজেলায় এবার শসার এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকেরা এতে লাভবান হবেন।