মাহফুজুল ইসলাম মন্নু, লোহাগড়া : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের পার আমডাঙ্গা, আমডাঙ্গা ও লোহাগড়া ইউনিয়নের ছাগলছিড়া গ্রামের ৩০০ পরিবারের ঘরবাড়ি মধুমতি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে । গত রোববার ও সোমবার সরেজমিন গিয়ে নদী ভাঙনের এই দৃশ্য দেখা যায়।
স্থানীয়রা বলেন, আমরা দীর্ঘ ৩/৪ বছর ধরে মধুমতি নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছি। সরকারি সাহায্য সহযোগিতা খুবই নগণ্য। আমরা এ বছর কোনো সরকারি কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমরা এখন সর্বশান্ত। আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। দু’গ্রামের প্রায় ৬০০ পরিবার নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে আছি । এই ভাঙন প্রায় ২ কিলোমিটার বিস্তৃত।
আমডাংগা গ্রামের আমেনা বেগম বলেন সারারাত নদীর পাড়ে বসে থাকি। কখন যেন নদীর পেটে চলে যায় আমার বসতভিটা চেয়ে চেয়ে দেখি।
পার আমডাঙ্গা গ্রামের আঃ সবুর খান, নুর আলম মাস্টার, সোহাগ মাস্টার, জাহেদা বেগম, রাসেল মোল্যা, রাজীব মুন্সিসহ আরো অনেকে জানান, গ্রামের শতবর্ষের মসজিদ-মাদ্রাসা, কবরস্থানসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি ও শতশত একর ফসলিজমি মধুমতির করাল গ্রাসে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সহায়সম্বল হারিয়ে আমরা এখন পথে বসেছি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, দ্রæত নদী ভাঙন রোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসন।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৮২ জনকে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙন রোধে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে।
নড়াইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, ২০২০/২১ অর্থবছরে নদী ভাঙন রোধে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। বরাদ্দ পেলে পুনরায় নদী ভাঙন রোধে কাজ করা হবে।
এ ব্যাপারে নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।