বাগআঁচড়া প্রতিনিধি: ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা দেখতে উপচে পড়া ভীড় জমেছে শার্শার বাগআঁচড়া ময়ূরী সিনেমা হলে। বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস দেখতে ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার শার্শা থেকে বারবার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বেনাপোল পৌর আ.লীগের উদ্যোগে সাড়ে ৭০০ নেতাকর্মী সমর্থক সিনেমাটি দেখেন এই হলে। তারা ৩টা থেকে ৬ টা শো দেখেন।
সিনেমা হলে এসময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা পরিষদ থেকে বারবার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শার্শা উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, বেনাপোল পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল,আসাদুজ্জামান বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, গোলাম মোস্তফা, প্রচার সম্পাদক অহিদুল হক পুটু, শার্শা উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন, শার্শা উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বাগআচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কবির বকুল, কায়বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান ফিরোজ আহমেদ টিংকু, শার্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মুকুল, ডিহি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিল, লক্ষণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান,
বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান,
বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক মুকুল, বেনাপোল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহাজ্জুদ হোসেন, বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান,
উলসি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেব আলী, নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, শার্শা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন, মোখলেসুর রহমান কাকনসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ,
ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।
সামনে থেকে জাতির পিতাকে যারা দেখার সুযোগ পাননি তারাই এখন হলে গিয়ে জাতির পিতাকে দেখে আবেগাপ্লুত হচ্ছেন।
ময়ূরী সিনেমা হলে শো শুরু হওয়ার আগেই কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ যুবক এই ছবি দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন।
সিনেমা হলে আসা অশ্রুভেজা চোখে দর্শকরা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার রূপকার একটি জাতির রূপকার। তিনি এই দেশ এবং দেশের মানুষেকে যা দিয়েছেন তার জন্য আমরা সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। এতোদিন বইতে বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়েছি। আজ তাকে পর্দার মাধ্যমে দেখতে পাব কখনো ভাবিনি।
বাগআঁচড়া ময়ূরী সিনেমা হলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আলম বাবু বলেন, বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক দেখার জন্য দর্শকরা যেভাবে সাড়া ফেলেছে তা আমাদের কল্পনাতেও ছিল না। সব বয়সী মানুষই এ ছবি দেখার জন্য হলে আসছে। যারা বঙ্গবন্ধুর কথা পড়েছেন এবং এতদিন শুনেছেন তারা এই ছবির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে বাস্তবে দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই ছবি দেখার পর কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।