মুর্শিদুল আজিম হিরু : বাজারে পেঁয়াজ-আলুর দামে বিপর্যপ্ত হয়ে পড়েছে ক্রেতা। প্রতিনিয়ত বাড়ছে এ দুইটি পণ্যের দাম। অপরিবির্তিত আছে চাল, ডাল, সবজি, মরিচ, ও ভোজ্য তেলের দাম। বৃহস্পতিবার শহরের বড় বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বাজারে প্রতিদিন দাম বাড়ছে আলু-পেঁয়াজের দাম। এরমধ্যে রসুনের দামও বেশ উঠানামা করছে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীরা আমদানিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। ফলে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আলুর আমদানির সংবাদে কোন প্রভাব পড়েনি বাজারে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ৫৫ টাকা থেকে ৫৮ টাকা। ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় দেশি-বিদেশি পেঁয়াজ। প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয় ১৬০ টাকা। ২০০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় দেশি-বিদেশি রসুন।
বাজারে সবজির দাম আরও কমেছে। শীতকালিন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দামও কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয় ৬০ টাকা। ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হয় টমেটো। প্রতি কেজি উচ্ছে বিক্রি হয় ৬০ টাকা। ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বরবটি। ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ওল। প্রতি কেজি পটল বিক্রি হয় ৪০ টাকা। ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় কুমড়া। প্রতি কেজি ঝিঙে ও কুশি বিক্রি হয় ৪০ টাকা। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ধেড়স। প্রতি কেজি পুই শাক বিক্রি হয় ৩০ টাকা। ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কলা। ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কচুর লতি। প্রতি কেজি কচুর মুখি বিক্রি হয় ৭০ টাকা। ২০ টাকা কেজি বিক্রি হয় পেঁপে। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কাঁকরোল। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয় ১২০ টাকা। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বাধা কপি। প্রতি কেজি মূলা বিক্রি হয় ৪০ টাকা। ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় পালংশাক।
আজ থেকে ইলিশ মাছ ধরা, পরিবহন ও বিক্রির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। জেলেরা রাতে মাছ ধরতে সাগরে যাবে। ফিরে আসলে বাজারে ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে। ইলিশ মাছ বাজারে আসলে অন্যান্য মাছের দাম কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হয় ১৮০ টাকা থেকে সাড়ে ৩২০ টাকা। ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কাতলা মাছ। প্রতি কেজি চিলবারকার্প মাছ বিক্রি হয় ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় মৃগেল মাছ। প্রতি কেজি কৈ মাছ বিক্রি হয় ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা। ২৫০ টাকা থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হয় শিং মাছ। প্রতি কেজি পাবদা মাছ বিক্রি হয় ৩৫০ টাকা। ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাক কেজি বিক্রি হয় তেলাপিয়া মাছ। প্রতি কেজি পাংঙ্গাস মাছ বিক্রি হয় ১৭০ টাকা থেকে ২০০ টাকা।
বাজারে সরকার নির্ধারিত দাম পাওয়া যাচ্ছে ভোজ্য তেল। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ১৭০ টাকা। আবার ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয় খোলা সয়াবিন তেল। প্রতি কেজি সুপার পাম তেল বিক্রি ১৪০ টাকা। ১৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় পাম তেল।
বাজারে ঊর্ধ্বদামে অপরিবর্তিত আছে চাল। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হয় ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা। ৫০ টাকা থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-২৮ চাল। প্রতি কেজি বিআর ৪৯-চাল বিক্রি হয় ৫০ টাকা থেকে ৫২ টাকা। ৪৮ টাকা থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-১০ চাল বিক্রি । প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৫৪ টাকা থেকে ৫৬ টাকা। ৬৬ টাকা থেকে ৬৮ টাকা কেজি বিক্রি হয় বাংলামতি চাল।
বাজারে ডালের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয় ১শ’৩০ টাকা। ১শ’১০ টাকা কেজি বিক্রি হয় আমদানিকৃত মুসুর ডাল। প্রতি কেজি ছোলার ডাল বিক্রি হয় ৯০ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় বুটের ডাল। প্রতি কেজি মুগের ডাল বিক্রি হয় ১শ’ টাকা থেকে ১শ’৩০ টাকা।