নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা পাড়ায় আশরাফুল ইসলাম বিপুল (২৭) নামে এক যুবককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১২ জুলাই) রাতে জনসম্মুখে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বিপুল বারান্দীপাড়া ঢাকা রোড এলাকার বাসিন্দা আক্তার হোসেনের ছেলে। পুলিশ বলছে, অন্যের তালাক দেয়া স্ত্রীকে বিয়ে করার জেরে বিপুল হত্যার শিকার হয়েছে। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের ১৫ টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য সোহেল রানা জানান, রাত সোয়া ৮ টার দিকে দুর্বৃত্তরা বিপুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুরুষ সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বিপুল মারা যান। নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া জানান, তার সাবেক স্বামী ষষ্ঠীতলা পাড়ার বাপ্পির নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা বিপুলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি এই ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেছেন। নিহতের পিতা আক্তার হোসেন জানান, তার ছেলে বিপুল এশিয়ান কোম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করত। ৬ মাস আগে বিপুল ষষ্ঠীতলা এলাকার সুমাইয়া নামে একটি মেয়েকে বিয়ে করে। এর আগে ষষ্ঠীতলার আব্দুল খালেকের ছেলে বাপ্পির সাথে সুমাইয়ার বিয়ে হয়েছিলো। কিন্তু বাপ্পি মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্ত হওয়ায় সুমাইয়া তাকে তালাক দেন। বাপ্পিকে তালাক দেওয়ার পর সম্পর্ক করে তার ছেলে বিপুলকে বিয়ে করেন সুমাইয়া। সেই থেকে তার ছেলেকে খুন করার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলো বাপ্পি। মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ পাঠিয়ে তাকে হুমকি দেওয়া হতো। তিনি জানান, রাতে তিনি খবর পান ষষ্ঠীতলায় ডেকে নিয়ে তার ছেলে বিপুলকে হত্যা করেছে বাপ্পি। হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক তুষার আহমেদ জানান, নিহত বিপুলের শরীরে ধারালো অস্ত্রের ১৪/১৫ টি কোপের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হতে পারে। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, ষষ্ঠীতলা পাড়ায় বিপুল নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। অন্যের তালাক দেয়া স্ত্রীকে বিয়ে করার জেরে এই হত্যাকান্ড বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। হত্যার সাথে জড়িতদের আটকে অভিযান শুরু হয়েছে।