নিজস্ব প্রতিবেদক : পাইলস চিকিৎসার দ্বার খুলেছে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। বিশ্ব পাইলস দিবস পালনের অনুষ্ঠানে সোমবার করোনারি কেয়ার ইউনিটের বর্হিঃবিভাগে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ক্লিনিকের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন যশোর মেডিকেল কলেজের (যমেক) অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এএইচএম আহসান হাবিব। সেখানে প্রতি মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত রোগীর চিকিৎসাসেবা প্রদান করবেন জেনারেল সার্জারি ও কলোরেক্টাল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. মাহমুদুল হাসান পান্নু ।
বিশ্ব পাইলস দিবস উপলক্ষে সোমবার সকালে যমেকের উদ্যোগে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে পাইলস দিবসের র্যালি বের হয়। হাসপাতাল চত্বর ঘুরে আবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে হাসপাতালে সভাকক্ষে বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা.হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন যমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এএইচএম আহসান হাবিব। তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, পাইলস একটি নিরাময় যোগ্য রোগ। কিন্তু সচেতনতার অভাবে মানুুষ এ রোগ থেকে নিরাময়ের জন্য নানা ধরণের অপচিকিৎসা গ্রহণ করে। এখন থেকে সরকারি হাসপাতালস্থ ক্লিনিক থেকে মানুষ সঠিক চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারবেন। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন সার্জারি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. এনকে আলম ও সহকারী অধ্যাপক ডা. আব্দুর রহিম মোড়ল, বিএমএর সভাপতি ডা. একেএম কামরুল ইসলাম বেনু, সাধারণ সম্পাদক ডা. এমএ বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মাদ গোলাম মোর্তুজা, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী ।
ডা. মাহমুদুল হাসান পান্নু বলেন, বর্তমানে পাইলসের সর্বাধুনিক চিকিৎসার যশোরে শুরু হয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের ৮০ভাগ ওষুধের মাধ্যমে সুস্থ হয়। বাকি ২০ভাগে রোগীর অপারেশনের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসায় পাইলস, কোলন ক্যান্সার, রেক্টামা, এনাল বা মলদ্বারের ক্যান্সার, ফিসটুলা, এনাল ফিসার, কোষ্ঠকাঠিন্য, মলত্যাগের বাধাগ্রস্ততা, আইবিএস, আলসাররিটিভ কোলাইটিস, ক্রনস ডিজিসসহ মলদ্বারের আধুনিক চিকিৎসা এখন ওষুধের মাধ্যমে সুস্থ করা সম্ভব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তৌহিদুর রহমান। বৈজ্ঞানিক সেমিনার শেষে করোনারি কেয়ার ইউনিটের নিচতলায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের একমাত্র সরকারি কলোরেক্টাল বা পাইলস ক্লিনিকের উদ্বোধন করা হয়।