Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

মণিরামপুরে ঠেকানো যাচ্ছে না বাল্যবিয়ে!

এখন সময়: সোমবার, ২০ জানুয়ারি , ২০২৫, ০৯:৪০:৩৫ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর: ঠেকানো যাচ্ছে না বাল্য বিয়ে! প্রতিরোধ বিষয়ক সভা-সেমিনারে সচেতনতা করা হলেও বাল্য বিয়ের যেন হিড়িক পড়েছে মণিরামপুরে। এর প্রভাব পড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে। উপজেলার গোপিকান্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ৮ শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে একবছরে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী কথা মনি, সুরাইয়া, তুবা খাতুন, রিপ্না খাতুন, তানিয়া খাতুন, সুমাইয়া খাতুন, সানজিদা ও সীমা খাতুনের বিয়ে হয় গত একবছরের মধ্যে। এছাড়াও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তন্নী খাতুন, ঋতুপর্না, আখি দাস ও সনজিতা দাসের বিয়ে হয়েছে সম্প্রতি। হরহামেশা বাল্য বিয়ে হলেও সমাজে কারোর কথা মানছেন না অভিভাবকরা। এরফলে একদিকে বাল্য বিবাহ যেন বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এর প্রভাব পড়ছে। মণিরামপুর মহিলা আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, একই অবস্থা তার মাদ্রাসাতেও। তিনি বলেন, হাজার চেষ্টা করলেও বিয়ে ঠেকাতে পারছেন না শিক্ষকরা। কন্যা পক্ষ পাত্র পেলেই বিভিন্ন কৌশলে তারা দিচ্ছি বিয়ে। ধলীগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোয়াজ্জেন হোসেনও বলেছেন একই কথা। গালদা খড়িঞ্চী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অশোক বিশ্বাসও বলেছেন এমন কথা। একই বছরে ১২ শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গোপ্তিকান্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অসিম রায় জানান, বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের নিয়ে মিটিং করা হয়েছে। তারপরও কেন যে, ঠেকানো যাচ্ছে না তার জবাব নেই। বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আব্দুল আজিজ সরদার বলেন, একটা ছেলে জুটলে মেয়ের পিতা চুরি করে বিয়ে দিচ্ছে মেয়েকে।

বাল্য বিবাহ বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তার বলেন, প্রত্যেকটা ইউনিয়নে সভা-সেমিনার, উঠান বৈঠক করা হচ্ছে বাল্য বিবাহ বন্ধ করার জন্য। নিতান্ত তাও না হলে অ্যাসিল্যান্ডকে জানালে তড়িত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)