Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

মণিরামপুরে ‘ভাইরাস’ ব্যবসায়ে জীবন জীবিকা

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই , ২০২৫, ০১:৩০:৩৭ পিএম

উৎপল বিশ্বাস, নেহালপুর : মণিরামপুরের ৪ ইউনিয়নের কয়েক’শ নারী, পুরুষ ও কিশোরদের উপার্জনের মাধ্যম এখন রেইনট্রি গাছের ‘ভাইরাস’। প্রতিদিন তারা কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পযর্ন্ত গাছ থেকে ভাইরাস সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, মনোহরপুর, নেহালপুর, দূর্বাডাঙ্গা ও কুলটিয়া ইউনিয়নে এই কাজে জড়িতরা ভোরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এরপর সাদা বর্ণের ভেতর লালচে রঙের ভাইরাসযুক্ত ডালের সন্ধান করেন। যে গাছের ডাল সংক্রমীত বেশী, সেই ডাল ততো বেশি দামে গাছের মালিকের কাছ থেকে কেনেন তারা। ভাইরাসযুক্ত গাছের ডাল স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি ৪৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। এরপর পিকআপ অথবা করিমনে করে চলে যাচ্ছে পাইকারি আড়তে। ওই এলাকার বেকার যুবকরাও এ ব্যবসার সাথ সম্পৃক্ত হচ্ছেন।
প্রথমে সংক্রমিত গাছের ডাল দর কষাকষির মাধ্যমে গাছের মালিকের সাথে দাম ঠিক করে নেয়া হয়। পরে গাছ থেকে ডাল কেটে নারী শ্রমিকদের দিয়ে ভাইরাস ছাড়ানো হয়। ভাইরাস ছাড়ানোর পরে ওই ডাল বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। বিক্রির উপযোগী হলে বস্তায় করে স্থানীয় কুমারঘাটা, মনোহরপুর ও কেশবপুরের কলাগাছি বাজারে নিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত বিক্রি করা হয়।
এই ব্যবসার সাথে জড়িত হাসান, আহম্মদ, বাবুল ও রনিসহ অনেকেই জানান, মনোহরপুর, কুমারঘাটা, দাশেরহাট, কুলটিয়া, মশিয়াহাটী, নেহালপুরসহ এলাকার বিভিন্ন স্থানের শিশু (রেইনট্রি) গাছ দেখে আসি। যেসব গাছে ভাইরাস হয়েছে সেগুলো থেকে তিন থেকে চার জন শ্রমিক নিয়ে সংক্রমিত ডাল কেটে ভ্যানে করে বাড়িতে এনে ভাইরাস ছাড়িয়ে বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যাই। শুরুর দিকে এই ভাইরাস ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা পযর্ন্ত বিক্রি হলেও দাম কমেছে এখন।
পাইকারি ব্যবসায়ী মুসা, সুমন, সবুজসহ আরো অনেকেই জানান, সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে কিনে আমরা অন্য জায়গায় বিক্রয় করি। এগুলো সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা কেজি দরে কিনে সাড়ে ৫শ’ টাকা দরে বিক্রি করি।
মনোহরপুর বাজারের মো সুমন জানান, আমার মূলত ধানের আড়তের ব্যবসা। ‘ভাইরাসের’ ব্যবসাটা করছি। ভালো লাভও পাচ্ছি।
এই ভাইরাস কী কাজে ব্যবহার হয় এমন প্রশ্নে আড়ত ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরাও সঠিক জানি না। তবে লোকমুখে শুনেছি এটা দিয়ে আসবাবপত্রে রং করার কাজে উন্নতমানের আঠা বা গালা তৈরি করা হয়ে থাকে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)