Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি  

যশোরে বাজি হেরে টাকা না দেয়ায় খুন হন সোলাইমান

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি , ২০২৫, ০১:৪৩:২১ পিএম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার বাসিন্দা ট্রাভেল এজেন্সির কর্মী সোলায়মান হক হত্যা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি আরাফাত ফারাজী। বিপিএল খেলায় খুলনা ও রংপুরের ম্যাচে বাজি ধরে হেরে টাকা না দেয়ায় সোলাইমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় বলে জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় তারা ৮ জনসহ অপরিচিত আরও কয়েকজন ছিল বলে জানিয়েছে আরাফাত। রোববার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আরাফাত ফারাজী সদর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের নিয়ামত ফারাজীর ছেলে। বর্তমানে তিনি শহরতলীর চাঁচড়ায় বসবাস করেন।

আরাফাত ফারাজী জবানবন্দিতে বলেছে, গত ২৬ জানুয়ারি আইপিএল’এ খুলনা ও রংপুরের খেলা ছিল। এদিন বিকেলে শহরের টিবি ক্লিনিক এলাকায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন।  এ সময় সোলাইমান রংপুরের পক্ষে এবং মেহেদী খুলনার পক্ষ নিয়ে ১ হাজার টাকা বাজি ধরেন। খেলা শেষে রংপুর হেরে গেলে সোলাইমানের কাছে মেহেদী ও তার লোকজন বাজির ১ হাজার টাকা দাবি করে। সোলাইমান টাকা দিতে অস্বীকার করায় বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে মেহেদীকে ছুরিকাঘাতে জখম করে সোলাইমানের পক্ষের জসিমকে। এরমধ্যে সোলাইমানের লোকজন আরাফাতকে মারপিট করে হাত ভেঙে ফেলে। মেহেদী ও তার লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার যাওয়ার সময় ধাওয়া করে সোলইমান ও তার লোকজন। এর মধ্যে মেহেদী ও তার লোকজন উল্টো ধাওয়া করে ছুরিকাঘাতে সোলাইমানকে জখম করে। এ ঘটনায় এজাহারনামীয় আসামিসহ ৮/১০ জন জড়িত বলে জানিয়েছেন আরাফাত ফারাজী।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, সোলায়মান রেল রোডে সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখার সামনে ফেডেক্স নামক একটি আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের ম্যানেজার ছিলেন। গত ২৬ জানুয়ারি বিকেলে টিবি ক্লিনিক এলাকার পিযুসের চায়ের দোকানের চা পান করছিলেন। এ সময় একই এলাকার নজরুলের ছেলে জসিমকে ছুরিকাঘাত করে আরাফাত, মেহেদী ও জনি। এ সময় সোলায়মান প্রতিবাদ করলে তাকে ছুরি মারতে যায় আসামিরা। তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে আসামিরা পিছু ধাওয়া করে ষষ্টিতলা পাড়ায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে পেয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। সে সময় চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সোলায়মান মারা যান।

এ মামলায় আরাফাত ফারাজী গ্রেপ্তার এড়াতে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল মালেক আদালতের আদেশে আত্মসমর্পণকারী আরাফাতকে একদিনের রিমান্ডে নেন। রিমান্ড শেষে রোববার আরাফাতকে আদালতে সোপর্দ করা হলে ঘটনার সাথে জড়িত ও অপর জড়িতদের নাম উল্লেখ করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)