❒ঐতিহ্যের ধারক সব স্মারক নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে

যশোর জেলা পরিষদ ভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে স্মারকলিপি

এখন সময়: শনিবার, ২৭ জুলাই , ২০২৪, ১০:২৫:৩৭ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর জেলা পরিষদ ভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। রোববার ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর কাছে এই স্মারকলিপি দেয়। ইতিহাস ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে ঐতিহাসিক ভবনগুলো সংস্কার করে সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এদিন স্মারকলিপিটি দেয়া হয়। বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, যশোর জেলা পরিষদ ভবনটি যুক্ত বাংলার প্রথম জেলা যশোরের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবন। স্থানীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য ১৯১৩ সালে এই ভবনটি নির্মিত হয়। ভবনটি এখন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক। ২০১৯ সালে ভবনটি একবার ভাঙার উদ্যোগ নেয়া হয়। সে সময় যশোরবাসীর আন্দোলনের মুখে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু ঘাপটি মেরে থাকা একটি পক্ষ ব্যবসায়িক স্বার্থে সুকৌশলে পাঁচ বছর পরে এসে ফের ভনটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী সর্বনাশী একটি সিদ্ধান্ত এটি। জেলা পরিষদ ভবনটি সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে মূল নকশা অপরিবর্তিত রেখে সংস্কার করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যশোরের ইতিহাস জানার সুযোগ দেয়া উচিত। ‘একে একে নিভিছে দেওটি’র মতো যশোরের ঐতিহ্যের ধারক সব স্মারকগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো আধুনিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিচালনার প্রথম ভবন যশোর জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের পরিত্যক্ত ভবন। এই ভনটি যশোরের প্রথম কালেক্ট্ররেট ভবন। এই ভবনটির ঐতিহ্য রক্ষায় কারো কোনো উদ্যোগ নেই।

সেটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। শুধু তাই নয় যশোরের জেলা জজ আদালত, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ও ইতিহাস ঐতিহ্যের স্মারক। যে জাতির ইতিহাস নেই সে জাতি নিস্ব। যশোর সমৃদ্ধ ইতিহাস ঐতিহ্যের অধিকারী। কিন্তু এসব ঐতিহ্যের স্মারকগুলো রক্ষার দায়িত্বে যারা তাদের অজ্ঞতা, অদূরদর্শীতা ও স্বার্থপ্রীতির কারণে একে একে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে, যশোরের ইতিহাস ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে ঐতিহাসিক ভবনগুলো সংস্কার করে সংরক্ষণের জোর দাবি জানানো হচ্ছে।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন যশোর ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌলাহ, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি হারুন অর রশীদ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাজেদ রহমান বকুল,  প্রেসক্লাব যশোরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, বিপ্লবী কমিউনিস্টলীগের কেন্দ্রীয় নেতা জিল্লুর রহমান ভিটু ও জেলা সাধারণ সম্পাদক তসলিমুর রহমান, নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার কণা, সাংস্কৃতিক কর্মী প্রণব দাস, জনউদ্যোগ যশোরের সদস্য সচিব কিশোর কুমার কাজল প্রমুখ।