যশোরে চুরির অপবাদে যুবককে রাতভর নির্যাতনে হত্যা, আটক ৪

এখন সময়: শনিবার, ২৭ জুলাই , ২০২৪, ০৬:৫৯:৩৯ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রড ও লোহার যন্ত্রপাতি চুরির অপবাদ দিয়ে যশোরে ফয়জুল গাজী (২৭) নামে এক যুবককে সারারাত আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার সতীঘাটার একটি ওয়ার্কশপে ওই যুবকে হত্যা করা হয়। পুলিশ এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে। নিহত যুবক সদরের রামনগর ইউনিয়নের সতীঘাটা তোলাগোলদার পাড়ার জালাল উদ্দীন গাজীর ছেলে।

আটক চারজন হলো, ওই এলাকার আব্দুল্লাহ, তার দুই ছেলে আমির হামজা ও রাকিবুল ইসলাম এবং একই এলাকার সাব্বির নামে আরেক যুবক।

নিহতের পিতা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় আব্দুল্লাহর একটি ওয়ার্কশপ আছে। তার ওয়ার্কশপে লোহার যন্ত্রপাতি চুরি হয়। ওই চুরির অপবাদ দিয়ে ফয়জুলকে ধরে নিয়ে যায় আব্দুল্লাহ ও তার দুই ছেলে। পরে ওয়ার্কশপে সারারাত আটকে রেখে তাকে হাতুড়ি পেটা করা হয়। ভোর রাতে তিনি খবর পেয়ে ওয়ার্কশপটিতে যান। কিন্তু তাকে ভেতরে ঢুকতে ও ছেলের সাথে দেখা করতে দেয়া হয়নি। তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।

তিনি জানান, সকালে ফয়জুল অচেতন হয়ে পড়লে আব্দুল্লাহ তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফয়জুলকে মৃত ঘোষণা করেন। তার সাথে হাসপাতালে এলাকার লোকজন যান। তারা হাসপাতাল থেকে পুলিশে খবর দিয়ে আব্দুল্লাহকে ধরিয়ে দেয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে আব্দুল্লাহর দুই ছেলে আমির হামজা ও রাকিবুল ইসলামকে আটক করে। ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় সাব্বির নামে আরো এক যুবককে আটক করে থানায় নেয়া হয়।

নিহতের পরিবারের দাবি, চুরির মিথ্যা অভিযোগে ফয়জুলকে সারা রাত নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতনের কাজে ব্যবহৃত হাতুড়ি পুলিশ উদ্ধার করেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

যশোর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ফয়জুল চুরি করতে গিয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু তাকে পুলিশে না দিয়ে কয়েকজন মিলে মারধর করে। এতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ফয়জুল মারা যান। এ ঘটনা জড়িতদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।