Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

পূর্ববারান্দীপাড়ায় টগর হত্যাকাণ্ডের জেরে ৭টি ঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

এখন সময়: রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর , ২০২৪, ১১:৩০:৪৩ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়ার ২ নম্বর কলোনি এলাকায় টগর হত্যাকাণ্ডের জেরে ৭টি ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে। এতে মালামালসহ ঘরগুলো পুড়ে ছাই হয়ে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বাড়ির মালিক ওমর ফারুক তারেক এ ব্যাপারে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন।

আসামিরা হলো, পূর্ববারান্দী মোঠো পুকুরপাড় এলাকার মৃত রেজাউল চৌধুরীর ছেলে সোহেল (২২), আলাউদ্দিনের ছেলে ছোট সোহেল (৩১) এবং একই এলাকার লিটন (২৪)। এ ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় আরো ৪/৫ জন রয়েছে। পুলিশ সোহেল নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুড়ে যাওয়া ঘরের মালিক ওমর ফারুক তারেক জানান, তার ভাড়া দেয়া ওই বাড়িতে গিয়ে আসামিরা আড্ডা দিতো। তারা মাদক সেবন করে। বাধা দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয় তারা। এ ছাড়া টগর হত্যা মামলার আসামি আয়ান তার একটি ঘরে ভাড়া থাকতো। শনিবার ঢাকা থেকে টগরের লাশ নিয়ে এসে দাফনের পর রাত আনুমানিক ১২টার দিকে টগরের বন্ধু-বান্ধব ও তার আত্মীয়-স্বজনেরা হত্যাকারী আয়ানের থাকা একটি ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। রাতে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার সময় ভাড়াটিয়ারা উঠে বাধা দিতে গেলে তাদের হুমকি দেয় ওই তিনজন। পরে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

তিনি আরো জানান, দ্রুত পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।  কিন্তু তার আগেই আগুনে মোট ৭টি ঘর পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

যশোর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে আগুন লাগার খবর আসে। সাথে সাথে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাঠানো হয়। এক ঘন্টা চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। সাতটি ঘর পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গেছে। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নির্ণয় করা যায়নি।

যশোর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে টগরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। ওই এলাকার আয়ান, মিলন ও শাহিনের নেতৃত্বে এলাকার চিহ্নিত ৭ থেকে ৮ জনের একদল মাদক কারবারী হামলা চালিয়ে তাকে কোপায়। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফারের পর গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি সেখানকার একটি হাসপাতালে টগরের মৃত্যু হয়। তিনি শহরের বারান্দীপাড়া বটতলা এলাকার মনি হোসেনের ছেলে।   

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)