নিজস্ব প্রতিবেদক: গত রোববার থেকে জার্মানিতে শুরু হয়েছে ফিশ ইন্টারন্যাশনাল ফেয়ার ব্রেমেন ২০২৪। এই বছর, বাংলাদেশের তিনটি কোম্পানি মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। সেগুলো হলো ডিপ সি ফিশার্স লি., এম.ইউ. সি ফুডস লিমিটেড, ও ক্যাটেলিয়া এ সিফুড টেল। টেল। বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে এ তিনটি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের উদ্বোধনকালে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘ফিশ ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশের উপস্থিতি বৈশ্বিক সমুদ্রে আমাদের পদচিহ্ন প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতিকে নির্দেশ করে। শিল্প, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে আমাদের উচ্চমানের পণ্য প্রদর্শন করছে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (কমার্শিয়াল) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ফিশ ইন্টারন্যাশনালে আমাদের উপস্থিতি বিশ্ব সামুদ্রিক খাবারের বাজারে বাংলাদেশের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়, এই ধরনের অংশগ্রহণ ব্যবসায়িক যোগাযোগ এবং বাণিজ্যের সুযোগ বৃদ্ধি করে।
ডিপ সি ফিশার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনাম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ১.৭ লাখ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমা রয়েছে। যার মাধ্যমে আমরা ৪৬০ নটিক্যাল মাইল এলাকায় সামুদ্রিক মাছ সংগ্রহ করতে পারি। এই সুযোগ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আগামী পাঁচ বছরে সামুদ্রিক খাবার রফতানি করে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব।
এম.ইউ. সি ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্যামল দাস বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্ল্যাক টাইগার চিংড়ি জার্মানিতে খুবই জনপ্রিয়। এটি দুই দেশের সি ফুড ব্যবসাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। এম ইউ সি ফুডস এবং ডিপ সি ফিশার্স বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনের সহায়তায় জার্মান গ্রাহকদের আরো ভালো পরিষেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
২০২২ সালে এই মেলায় বাংলাদেশের প্রথম অংশগ্রহণ করে। সেবার মৎস্য অধিদপ্তর, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া এবং বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পূর্ববর্তী অংশগ্রহণের সাফল্য, এই বছর এই তিনটি কোম্পানিকে ফিশ ইন্টারন্যাশনাল ২০২৪-এ বাংলাদেশের পদচিহ্ন এ মেলায় অব্যাহত রাখতে প্রভাবিত করে।