আলমডাঙ্গা সরিষার বাম্পার ফলন

এখন সময়: সোমবার, ২৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:০৯:৩০ পিএম

 

জামসিদুল হক মুনি, আলমডাঙ্গা: আলমডাঙ্গা উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পান ফলন হয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে সরিষার আবাদও। এখন কৃষকরা নিজেদের ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে সরিষা বিক্রি করছে চড়া দামে। প্রতি কেজি ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রি করে আয় করছে অতিরিক্ত অর্থ। যে কারণে কৃষকরা অত্যন্ত খুশি। কিন্তু গত মৌসুমে সরিষাচাষীরা সরিষা ফলনের এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। কারণ তারা জানতো না স্বল্পজীবন কালের অধিক ফলনশীল ধানের সাথে অতি অল্প সময়ে সরিষার আবাদ শেষ করা যায়। যে কারণে তারা সরিষা চাষে উৎসাহী ছিলো না।

কৃষকরা জানান, বর্তমান চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিভাস চন্দ্র সাহা’র উদ্যোগে এবং আলমডাঙ্গা কৃষি অফিসের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সরিষা চাষে এ সফলতা এসেছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেহানা পারভীন বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর সরিষার উৎপাদন বেড়েছে ৩৩০ হেক্টর জমিতে। এই বৃদ্ধির মূল কারণ হলো সরকারি প্রণোদনা। যা চাষীদের সরিষা চাষে উৎসাহী করে তুলেছে। চলতি মৌসুমে ৮৬৪০ জন কৃষক সরিষা আবাদের জন্য সরকারি প্রণোদনা পেয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা সরিষা চাষের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ বা পরামর্শের পাশাপাশি কৃষকদের মাঝে উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিভাস চন্দ্র সাহাকে সাথে নিয়ে অনেকগুলো মাঠদিবস পালন করেছি। মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ভূমিকাও ছিলো অনেক বেশি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন চায়ের স্টলে বা যেখানে লোক সমাগম বেশি দেখেছে সেখানে সরিষা চাষের সুফলের ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ ও উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন।

আরো গেছে, ইতোমধ্যে বেশকিছু সরিষার জমিতে মৌবক্স বসিয়ে সরিষার সাথে এলাকার মানুষ সুলভ মূল্যে খাঁটি মধু সংগ্রহ করতে পেরেছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেহানা পারভীন বলেন, আশা করি সকলের প্রচেষ্টায় আগামী মৌসুমে সরিষার আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।