Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

দক্ষিণ এশীয় নাট্য উৎসব : ‘ওয়ান ফ্রাইডে মর্নিং’ নাটকে মুগ্ধ দর্শক

এখন সময়: সোমবার, ২০ জানুয়ারি , ২০২৫, ০৮:৩৪:২৪ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে থিয়েটার ক্যানভাস আয়োজিত ১৭ দিনের  দক্ষিণ এশীয় নাট্য উৎসবের  দশমদিনে রোববার সন্ধ্যায়  মঞ্চস্থ হয়েছে নাটক ‘ওয়ান ফ্রাইডে মর্নিং’। সঞ্চিতা বসু রচিত এবং নির্দেশিত এই নাটকটি পরিবেশনা করেছে ভারতের  পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মধ্যমগ্রামের নৃত্যবিতান।

৫০ মিনিটের এ নাটকে  মাত্র দুই জনই পাত্র-পাত্রী। তাদের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। সংলাপ নিক্ষেপ, অভিনয়ের চাটুলতা, পোশাক পরিচ্ছদ সবই ভালোলাগার মাত্রা ছাড়িয়ে দেয়।

অভিনয়ের পাত্র পাত্রীরা হল সঞ্চিতা বসু ও পৌলোমী সেনগুপ্ত। ‘ওয়ান ফ্রাইডে মর্নিং’ মূলত নিম্নবর্গীয় মানুষের অধিকারের কথা বলে।

এ নাটকের মূল চরিত্র দূর্গা সোরেন দলিত শ্রেণীর হয়ে আওয়াজ তোলে, যা পৌঁছে যায় তথাকথিত সভ্য সমাজের ভিত্তি অবধি আর নাড়িয়ে দেয় যুগ যুগান্তর ধরে অভ্যাস করা বর্ণবিদ্বেষের শিকড়।

বিদ্বেষের হাত ধরে সভ্যতা যখন পেছন দিকে হাঁটতে শুরু করে, তখন ‘ওয়ান ফ্রাইডে মর্নিং’ এর মত নাটকে ভর করে ‘দুর্গা’রা বুক ঠুকে মনে করিয়ে দিয়ে যায় প্রাচীন ইতিহাসের অমোঘ বাণী; ”বর্ণ কিন্তু জন্মসূত্রে লব্ধ নয়’।

কর্মের ফলে অর্জিত সম্মানই হোক বেঁচে থাকার মূল পাথেয়।

নাটক জীবনের কথা বলে, নাটক সমাজ পরিবর্তনের কথা বলে, নাটক শ্রেণী সংগ্রামের সতীর্ণ হাতিয়ার। ১৭ দিনের এই উৎসবের ছোঁয়া লেগেছে জেলার সবখানেই। মিলনায়তনের বাইরেও উৎসবে ভরপুর। শুধু নাট্যকর্মী বা নাট্য অনুরাগী ও প্রেমী নয় সাংস্কৃতিক অন্য শাখায় যাদের বিচরণ তাদেরও মোহনা জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণ। বিকেল গড়াতেই মানুষের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে।

শেষে দুই অভিনয় শিল্পীকে প্রদান করা হয় উৎসব স্মারক। অনুভুতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন  সঞ্চিতা বসু ও সাংস্কৃতিকজন হারুন অর রশিদ।

 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)