মারুফ কবীর: ঈদের পোশাকে আধুনিকতার ভিড়েও থ্রি-পিসের চাহিদা নারীদের কাছে এখনো বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, পশ্চিমা ধাচের বাহারি পোশাক মূলত সমাজের উঁচুতলার নির্দিষ্ট ক্রেতাদের টার্গেট করেই বাজারে আনা হয়। তবে সমাজের বেশিরভাগ নারীই প্রচলিত থ্রি-পিস পরতে আগ্রহী। আর এ কারণেই বরাবরের মতো বিক্রেতাদের কাছে সাধারণ দেশি থ্রি-পিসই হট আইটেম হিসেবে স্থান পেয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়েদের পোশাক কেনার আগ্রহের তালিকায় রয়েছে দেশি ফ্যাশন হাউজের সুতি থ্রি-পিস। এসব পোশাক এক থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বছর মেয়েদের বিভিন্ন ধরণের টু-পিস, থ্রি-পিস, ফোর-পিস সালোয়ার কামিজসহ বুটিক থ্রি-পিস জর্জেট ও ঘেরওয়ালা ড্রেস বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। গরমের বিষয় মাথায় রেখে লিনেন ও সুতি কাপড়ের মিশ্রণে তৈরি থ্রি-পিস এরই মধ্যে বেশ নজর কেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, নতুনত্ব ও সময়োপযোগী হওয়ায় এবার তরুণীদের আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে এসব পোশাক। যশোর শহরের কাপুড়িয়াপট্টি, এইচ এমএম রোড, মুজিব সড়ক, কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেট, পৌর হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানের বিপণিবিতান ঘুরে দেখা গেছে, এবারের কালেকশনের মধ্যে দেশি সুতির থ্রি পিসের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তরুণীসহ সবধরনের নারীরা এ পোশাক কিনছেন আগ্রহ ভরে। বাজারে বিভিন্ন বুটিকস হাউজের থ্রি পিস ১৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা, লোন ১৫শ’ থেকে ৪ হাজার টাকা, জামদানী ২ থেকে ৪ হাজার টাকা, কাতান ও জর্জেট ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এ সকল পোষাকগুলোর মধ্যে মাঝামাঝি দামের পোষাকগুলোর বিক্রি বেশি বলে জানান বিক্রেতারা।
শহরের গোবিন্দ স্টোরের প্রোপাইটর অসিত কুমার সাহা বলেন, এবছর দেশী সূতি থ্রি-পিসের চাহিদা বেশি।
দেখা ফ্যাশনের প্রোপাইটর মান্না দে লিটু বলেন, থ্রি পিসের মধ্যে মাঝামাঝি দামের পোষাকগুলোর বিক্রি বেশি। আশা করছি ২/৩ দিনের মধ্যে বিক্রি বাড়তে শুরু করবে।
যশোর কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মঈনউদ্দীন টেনিয়া বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে বিক্রি বাড়তে পারে। আর এখন যা বিক্রি হচ্ছে সেটা সামগ্রিকভাবে ভালো। বাজারে বিভিন্ন বয়সের ক্রেতাদের ভীড়। এদের মধ্যে কম বয়সী তরুণীর সংখ্যাই বেশী।
মালিহা নামের এক ক্রেতা বলেন, শাড়ির চেয়ে থ্রি-পিসের দাম কম। সেই সঙ্গে পরিধান করতে স্বচ্ছন্দবোধ করায় থ্রি-পিস পছন্দ করছি। চলতি বছর যশোরের ব্যবসায়ীরা ভালো ডিজাইন ও উন্নতমানের কাজের দেশীয় থ্রি-পিসের কালেকশন নিয়ে এসেছে। আমাদের কাছেও অনেক ভালো মনে হচ্ছে।
আফরোজা খাতুন নামের আরেক নারী বলেন, দেশি ফ্যাশন হাউজের থ্রি-পিস এক কথায় অসাধারণ। এ বছর প্রস্তুতকারকরা নানা ডিজাইনের কাজ করায় আরও বেশি অসাধারণ লাগছে।