নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে যশোরের তাপমাত্রা। পারদ ক্রমশ ওপড়ে চড়ে আগের দিনের রেকর্ড ভাঙছে পরের দিন। গত তিনদিনে এক ডিগ্রি করে তাপমাত্রা বেড়েছে। শনিবার এই জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ধারণ করা হয় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন শুক্রবার ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করে। গত বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সূর্যের প্রখর তাপে বাতাসে যেন আগুনের হলকা ছড়াচ্ছে। মরুভূমির মতো ‘লু হাওয়ায়’ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন; ঘটেছে ছন্দপতন। গতকাল দুপুরের পর থেকে গরমের প্রকোপে রাস্তা-ঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি সড়কের পিচ গলে যায় । কর্মজীবী মানুষ প্রখর রোদে কাজে যেতে পারছেনা। অনেকে বাধ্য হয়েই যাচ্ছে। ভ্যান-রিকশায় তেমন যাত্রী হচ্ছে না। গ্রামের মানুষ শহরমুখী কম হচ্ছে।
এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে পানি সংকটে পড়েছেন শহরের বাসিন্দা। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে যাওয়ায় টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়ছে। শহরের রেলগেট এলাকার বাসিন্দা আল আমিন বলেন, টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। পুকুরে যেতে হচ্ছে। যেটুকু পানি উঠছে তাতে আয়রন। পান করা যাচ্ছে না।
গ্রীন ওয়ার্ন্ড এনভাইরনমেন্ট ফাউন্ডেশন যশোরের নির্বাহী পরিচালক আশিক মাহমুদ সবুজ বলেন, ভুগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বেড়েছে যশোরে। পুকুর জলাশয় ভরাট ও অপরিকল্পিতভাবে গভীর ও অগভীর নককূপ স্থাপনের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তাই দ্রুত জলাধর সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন না করলে ভবিষ্যতে পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে।
যশোর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশল জাহিদ পারভেজ বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ওয়াটার টেবিলের লেয়ার নিম্নমুখী। লেভেল নেমে যাওয়ার কারণে সুপেয় পানির যাতে সঙ্কট না হয়; সে জন্য উপজেলা পর্যায়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সাবমারসিবল দিয়ে পানি সরবরাহ নিশ্চিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।