ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে ফুলতলা উপজেলার শিরোমনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করে জোরপূর্বক ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার প্রভাষক সাগর কুমার গোলদার বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দিগ্ধ ২ ব্যক্তিকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
মামলার এজহারে জানা যায়, গত ২১ মে ভোট গ্রহণ চলাকালে ফুলতলা উপজেলার শিরোমনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ২য় তলা ভবনে বিকেল ৩.২০ মিনিটে অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ ব্যক্তি ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে। এ সময় তারা ব্যালট পেপারে এলোপাতাড়ি সিল মারতে থাকে। ঘটনার পর পুলিশ পৌঁছুলে ব্যালট পেপার ছিনতাইকারীরা কিছু সংখ্যক ব্যালট পেপার নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় মহিলা ভোট কেন্দ্রের বুথে অতিরিক্ত ভোট প্রদানকালে মোছা. শিরিন খাতুনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৭দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। খবর পেয়ে ফুলতলা উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও তাসনীম জাহান, নির্বাচন কর্মকর্তা এএসএম রোকনুজ্জামান ওই কেন্দ্রে পৌছালে ১৫/২০ মিনিট পর পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শেষে গণনাকালে চেয়ারম্যান প্রতীকের হারিয়ে যাওয়া ৩৫, ভাইস চেয়ারম্যান ৩০ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ২০৬ ব্যালট পেপারের হিসাব পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় প্রিজাইডিং অফিসার সাগর কুমার গোলদার বাদী হয়ে শিরোমনি মোল্যা বাড়ি এলাকার মৃত আলাউদ্দিন শেখের পুত্র আনোয়ার হোসেন (৪২) এর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০/৩৫ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই সুমঙ্গল বলেন, মামলার এজহারনামীয় আসামি আনোয়ার হোসেন ও সন্দিগ্ধ আসামি শিরোমনি এলাকার বাসিন্দা খান মোসাদ্দেক হোসেন ইমনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।