Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒নবাবের সাথে কে ছিলো দীপক না এনামুল?

যশোরে যুবলীগ কর্মী আলী হত্যায় ৬ জনের নামে মামলা রেকর্ড

এখন সময়: সোমবার, ২০ জানুয়ারি , ২০২৫, ০৭:৩৫:১৩ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে যুবলীগ কর্মী আলী হোসেন হত্যার ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালি থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। নিহতের মা মঞ্জুয়ারা বেগম ৮ জনের নাম উল্লেখ করে প্রথমে এজাহার দিলেও শেষ পর্যন্ত দুই জনের নাম বাদ দিয়ে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। যদিও এই মামলায় নবাব বাদে বাকি অন্য আসামিদের নাম জড়ানোর বিষয় নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

যাদের নামে মামলা রেকর্ড হয়েছে তারা হলো, সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত মফজেলের দুই ছেলে নবাব হোসেন (৫৫) ও সিরাজ হোসেন (৫২), পাঁচবাড়িয়া স্কুলপাড়ার মৃত সফিয়ার রহমানের ছেলে ইকরামুল (৪৫), বাহাদুরপুর পশ্চিমপাড়ার আলতাফ হোসেনের ছেলে টোকন (৪৫), চাঁচড়া ভাতুড়িয়ার নারায়ণপুর গ্রামের নূর ইসলাম মহুরীর ছেলে ইসরাজুল (২৫) এবং কিসমত নওয়াপাড়ার ইন্তাজের স’মিলের সামনে একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজের কর্মচারী এনামুল (২৮)।

 মামলা থেকে যে দুইজনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে তারা হলো, শহরের পালবাড়ির মোড়ের মৃত জামাত আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম রবি (৫২) এবং ছোট বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে সজল আল মামুন সোহেল (৩৫)।

পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আসামিদের আটকের তৎপরতা চলছে। কিন্তু কারোর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ আসামি ও মূল কিলার নবাবকে আটকের জন্য অভিযান চালিয়ে তার শ্বশুর বাড়ির পাাশ থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করেছে। কিন্তু তাকে আটক করতে পারেনি।

সূত্র মতে, উপশহর বাবলাতলা এলাকায় রেন্টএ কারের ব্যবসায় করেন দীপক নামে এক যুবক। তার বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে। তিনি উপশহর ট্রাক টার্মিনালের পাশের একটি গ্যারেজে নিয়মিত ওঠাবসা করেন। ঘটনার দিতে অর্থাৎ ৬ জুন রাতে খাওয়ার দাওয়ার ওই অনুষ্ঠানে দীপকও ছিলেন। ওই গ্যারেজ থেকে একটি মোটরসাইকেল নেয় দীপক। সাথে ছিলেন নবাব। তারা আলী হোসেনের পিছু নেয়। আলী হোসেনের সাথে ছিলেন সোহান ও নয়ন নামে দুই যুবক। তারা বাহাদুরপুর তেঁতুলতলা মোড়ে পৌঁছালে আলী হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এই মামলায় ওই গ্যারেজের কর্মচারী এনামুলকে আসামি করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে নবাবের সাথে কে ছিলো দীপক না এনামুল। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।

পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, নবাবকে বহনকারী মোটরসাইকেলটি দীপক চালাচ্ছিলেন। তাদের দুইজনের কাছে অস্ত্র ও গুলি ছিল। বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে মামলার মূল আসামি নবাব বা দীপক অথবা এনামুল আটক হওয়ার পর।

গত ৬ জুন দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বাহাদুরপুর তেঁতুলতলায় গুলিতে নিহত হন ওই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে যুবলীগ কর্মী আলী হোসেন। তিনি নিজেও একাধিক মামলার আসামি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় তিনটি মামলা আছে। এ ছাড়া মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে তিনি এলাকায় পরিচিত ছিলেন।  

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)