কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: কোটচাঁদপুর এসডি কলেজে উপাধ্যক্ষ ও ৩ কর্মচারী নিয়োগে স্বজনপ্রীতিসহ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৯ মে কলেজের উপাধ্যক্ষ ও ৩ কর্মচারী নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী উপাধ্যক্ষ পদে ২ জন, অফিস সহকারী পদে ৩৫ জন, ল্যাব সহকারী পদে ১৩ জন ও আয়া পদে ৫ জন আবেদন করেন। কলেজের অধ্যক্ষ অমল কুমার ঘোষ জানান, আবেদনকারীদের আবেদন যাচাই বাছাই করা হয়েছে। তবে কত তারিখে নিয়োগ বোর্ড বসবে তা নিশ্চিত করে বলেননি। এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ ১৯৯৩ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে অধ্যক্ষ অমল ঘোষ ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় তার পছন্দের মানুষ ও স্বজনদের নিয়োগ দিয়ে আসছেন। তাদের অভিযোগ ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ সুজন কুমার ঘোষ নামে এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়া হয়। তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর ৭ মাস। সাফদারপুর মুনছুর আলী একাডেমি থেকে এসএসসি পাস করা এই চাকরিজীবীর মুল সনদে দেখা যায় তার জন্ম ১৯৯৮ সালের ২১ আগস্ট। সে হিসেবে তিনি যেদিন চাকরিতে যোগদান করেন, তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর ৭ মাস। এদিকে ৯ মে দেয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উপাধ্যক্ষসহ ৪ কর্মচারী নিয়োগে ৫৫ জন আবেদন করেছেন। অথচ অধ্যক্ষ ইতোমধ্যে কমিটির লোকজন ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজসে আবেদনকারীদের মাঝ থেকে অফিস সহকারী পদে আফছারা মুক্তা ও রিহানকে তার তালিকায় রেখেছেন। ল্যাব সহকারী পদে অধ্যক্ষের নিজ পুত্র সাম্য ঘোষ ও আয়া পদে মামাতো বোন প্রতীমা ঘোষকে চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। শুধু উপাধ্যক্ষ পদে কাকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দেয়নি। এ ব্যাপারে কলেজের সভাপতি শওকত আলী খান বলেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। ব্যতিক্রম হওয়ার কোন সুযোগ নেই। অধ্যক্ষ অমল ঘোষের সাথে কথা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বিগত দিনের মত স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।