মিরাজুল কবীর টিটো : যশোর শহরের অধিকাংশ ফুটপাত দখল হয়ে গেছে। দোকানপাট বসিয়ে ফুটপাতে ব্যবসায় চলছে। কোনো কোনো এলাকায় ফুটপাত জুড়ে ক্লাব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে পথচারীরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
পথচারী চলাচলের জন্য শহরের সড়কগুলোর পাশের ড্রেনের ওপর কংক্রিটের ঢাকনা বসিয়ে টাইলস দিয়ে এসব ফুটপাত নির্মাণ করেছে পৌরসভা। কিন্তু এগুলো দখল হয়ে গেলেও নির্বিকার প্রতিষ্ঠানটি। জেলা প্রশাসনের উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা অপসারণে বারবার তাগিদ দেয়া হলেও কোনো রকম হেলদোল নেই পৌর কর্তৃপক্ষের।
শহর ঘুরে দেখা যায়, ঘোপ জেল রোড ও সেন্ট্রাল রোড, ষষ্টিতলা, মুজিব সড়ক ও রেল রোডসহ অধিকাংশ এলাকার রাস্তার পাশের ড্রেনের ওপর নির্মিত ফুটপাত দখল করে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। ঘোপ জেল রোডে কারাগারের দেয়ালের পাশে বড় একটি ড্রেনের ওপরের ফুটপাতে দোকান ঘর। ড্রেনটির ওপর ¯øাব বসিয়ে নির্মিত ফুটপাত নির্মাণ করেছে পৌরসভা। কিন্তু ওপরের স্লাব ভেঙে ড্রেনের ভেতরে পড়ে আছে দীর্ঘদিন। স্থানীয়রা জানান, বছরের পর বছর এরকম অবস্থা থাকলেও সংস্কার হয়নি। এখানকার ফুটপাতের চায়ের দোকানের সামনে রিক্সা, ইজিবাইক ও মোটরাসাইকেল রেখে চা পান চলে। এতে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে, গাড়িখানা রোডে পুনাক মেলা স্টলের পাশে পুলিশ অফিসার্স মেসের পাঁচিল ঘেসে ড্রেনের ওপর চায়ের দোকান বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায় চলছে। ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে হাসপাতালের সীমানা প্রাচীরের পাশে ড্রেনের উপর একটি ক্লাব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। যার কারণে পথচারীরা ফুটপাতের বদলে রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে।
গত জুন মাসে জেলা প্রশাসনে উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে তাগিদ দেয়া হয়। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
যশোর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাবিদ হোসেন জানান, পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলমান থাকায় ড্রেনের ওপরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়নি। খুব দ্রæত উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।