শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : বেনাপোল স্থলবন্দরে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা ১৮ কোটি টাকা মূল্যের সালফিউরিক এসিড জব্দ হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কেমিকেল পরীক্ষক তপন কুমার দেবনাথ সাক্ষরিত একটি চিঠি সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সূত্রমতে, গত ২ জুলাই মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা ১৬৪২৫ কেজি ‘ফরমিক এসিড’ নামে সালফিউরিক বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩৮ নাম্বার শেডে সংরক্ষণ করে আমদানিকারকের বেনাপোল প্রতিনিধি সিএন্ডএফ এজেন্ট মোশারফ ট্রেডিং। বিষয়টি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পেরে বেনাপোলে দায়িত্বরত জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যরা কাস্টম কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। পরে কাস্টম হাউসের নিজস্ব ল্যাবে ‘ফরমিক এসিড’ টেস্ট করলে সালফিউরিক এসিড শনাক্ত হয়। পণ্য চালানটি জব্দ করেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৮ কোটি টাকা। পণ্য চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্রগ্রামের রিফ লেদার লিমিটেড। কাস্টম সুত্রে জানা যায়, সালফিউরিক এসিড আমদানির ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিস্ফোরক পরিদপ্তরের অনুমোদন প্রয়োজন। এখানে আমদানিকারক মিথ্যা ঘোষণায় অনুমোদন বিহীন ওই সালফিউরিক এসিড আমদানি করেছে। একইসাথে আমদানিকারক সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অসৎ উদ্দেশ্যও হাসিল করেছেন। এর আগেও রিফ লেদার লিমিটেড মিথ্যা ঘোষণায় একইভাবে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আরো কতটি পণ্য চালান নিয়ে গেছে খতিয়ে দেখলে সেটি জানা যাবে। বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট মোশারফ ট্রেডিংয়ের প্রোপ্রাইটর মোশারফ হোসেন জানান, তিনি পণ্য চালানটি ছাড় করানোর জন্য দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কাস্টমস কর্মকর্তারা কেমিকেল চালানটি প্রাথমিক পরীক্ষা করে সালফিউরিক এসিড পেয়েছেন বলে জানিয়েছে। বিষয়টি তিনি আমদানিকারককে জানিয়েছেন। তবে আমদানিকারক কাস্টমসের এ অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন এবং পুনরায় পরীক্ষা করার দাবি জানিয়েছেন। বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, মিথ্যা ঘোষণায় আমদানির বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা তদারকি ও করণীয় বিষয়ে দেখছেন বলে জানান তিনি। বিষয়টি জানতে গত দু’দিন ধরে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেনকে একাধিকবার ফোন এবং মেসেজ দিলেও তিনি সাড়া দেননি।