নিজস্ব প্রতিবেদক: যৌতুকের টাকা না দেয়ায় মারপিটের অভিযোগে পুলিশ সদস্য সাবিত হোসেনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার যশোর সদরের বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত হাশেম মন্ডলের মেয়ে আসামির স্ত্রী তানিয়া সুলতানা বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে। আসামি সাবিত হোসেন যশোর শহরের পূর্ব বারান্দী-মোল্যাপাড়ার মৃত মাসুক হোসেনের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সৈয়দ কবির হোসেন জনী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২ জুন আসামি সাবিত হোসেন পারিবারিকভাবে তানিয়া সুলতানাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সাবিতকে যৌতুক হিসেবে টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, আসবাবপত্রসহ সংসারের যাবতীয় মালামাল দেয়া হয়। সাবিতের সাথে সংসার করা কালে তানিয়া জানতে পারে ফারজানা ইয়াসমিন নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেছিল। সাবিতের নির্যাতনের ফলে সে তাকে ত্যাগ করে চলে গেছে। বেশ কিছুদিন হলো সাবিত তার প্রথম স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে ফের তাকে বিয়ে করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সাবিত তার স্ত্রীর তানিয়ার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। চলতি বছরের প্রথমে দিকে সাবিত হোসেন প্রাইভেটকার কিনবে বলে তার স্ত্রীর কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এ টাকা তার পিতার বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে এনে দিতে বলে। ১ এপ্রিল তানিয়া যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারপিট করে জখম করে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিলে সাবিতের পরিবার বিষয়টি মীমাংসা করে নেয়। ৮ এপ্রিল তানিয়া সুলতানা নড়াইল পুলিশ সুপারের দফতরে সাবিতের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন। এতে তানিয়া সুলতানার উপর চরম ক্ষিপ্ত হয় সাবিত। গত ১৮ জুলাই সাবিত তার শ্বশুর বাড়ি বড় ভেকুটিয়া যায়। এসময় সাবিত তার চাকরির প্রমোশনের জন্য ১০ লাখ টাকা লাগবে বলে স্ত্রীর কাছে দাবি করে। তানিয়া এ টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারপিট করে জখম করে পালিয়ে আসে। আহত তানিয়া সুতলানা চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে থানায় মামলা করতে গেলে কর্তৃপক্ষের পরামর্শে তিনি আদালতে এ মামলা করেন।