মিরাজুল কবীর টিটো : ভর্তি কার্যক্রম শেষের পরও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজগুলোয় একাদশ শ্রেণিতে ৬৬ হাজার ১১৫টি আসন খালি থাকবে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১১ থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। এ তথ্য জানিয়েছেন বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক সমীর কুমার কুন্ডু। ইতিমধ্যে গত বৃহস্পতিবার থেকে একাদশ শ্রেণির ক্লাসও শুরু হয়েছে। এবারই প্রথম একই সঙ্গে ভর্তি ও ক্লাস চলছে।
বোর্ড সূত্র জানায়, একাদশ শ্রেণিতে ২৬ মে থেকে ১১ জুন শিক্ষার্থীরা প্রথম ধাপে, ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই দ্বিতীয় ধাপে এবং ৩য় ধাপের ভর্তির আবেদনের সময় ছিল ৯ থেকে ১০ জুলাই। এই তিন ধাপে যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজগুলোতে ২ লাখ ১৯ হাজার ৯৭২ আসনের বিপরীতে আবেদন পড়ে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯৪৯টি। আবেদনের প্রেক্ষিতে কলেজ ‘সিলেকশন’ পেয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫৬ শিক্ষার্থী। খালি রয়েছে ৬৬ হাজার ১১৬টি আসন।
প্রথম ধাপে ১ লাখ ৪২ হাজার ৪৩২ আবেদনের মধ্যে ভর্তির জন্য ‘সিলেকশন’ হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৭২৯ শিক্ষার্থী । এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ২৩ হাজার ৯৯০ আবেদনের মধ্যে ভর্তির জন্য সিলেকশন হয়েছে ২০ হাজার ৪৯০ শিক্ষার্থী। মানবিকে ১ লাখ ২ হাজার ৪০০ আবেদনের মধ্যে ভর্তির জন্য সিলেকশন হয়েছে ৯২ হাজার ৫৬৩ শিক্ষার্থী। ব্যবসায় শিক্ষায় ১৬ হাজার ৪০ আবেদনের মধ্যে ভর্তির জন্য সিলেকশন হয়েছে ১২ হাজার ৬৭৫ শিক্ষার্থী। গার্হস্থ্য বিজ্ঞানে ২ জন আবেদন করে সিলেকশন হয়েছে ১ শিক্ষার্থী।
দ্বিতীয় ধাপে বিজ্ঞানে ৩ হাজার ৪৬৯ আবেদনের মধ্যে ভর্তির ক্ষেত্রে সিলেকশন হয়েছে ২৭৩৯ শিক্ষার্থী। মানবিকে ১৭ হাজার ২৩৫ আবেদনের মধ্যে ভর্তির সিলেকশন হয়েছে ১৪ হাজার ৫৪৪ শিক্ষার্থী। ব্যবসায় শিক্ষায় ২৩৯৭ আবেদনের মধ্যে ভর্তির সিলেকশন হয়েছে ১৭১২ শিক্ষার্থী।
তৃতীয় ধাপে বিজ্ঞানে ১৩২২ আবেদনের মধ্যে ভর্তির জন্য সিলেকশন হয়েছে ১৫৪ শিক্ষার্থী। মানবিকে ৮৩৩৪ আবেদনের মধ্যে ভর্তির সিলেকশন হয়েছে ৬৬৯০ শিক্ষার্থী। ব্যবসায় শিক্ষায় ১৭৫৭ আবেদনের মধ্যে ভর্তির জন্য সিলেকশন হয়েছে ১৩৮৮ শিক্ষার্থী।
একাদশ শ্রেণির ভর্তির এ কার্যক্রমে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসদন কলেজের মতো কলেজগুলোর আসন পূর্ণ হবে। শিক্ষার্থী সংকটে পড়বে শহর ও গ্রামের অনেক বেসরকারি কলেজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অধ্যক্ষ এমনটি জানান।
এ ব্যাপারে বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক সমীর কুমার কুন্ডু জানান, ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে বোর্ডটির ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৭ শিক্ষার্থী। মোট আসনের তুলনায় ৭১ হাজার ৩৯৫ শিক্ষার্থী কম পাস করেছে। আবার জেনারেলে পাস করে অনেক শিক্ষার্থী কারিগরিতে ভর্তি হয়েছে। একারণে একাদশে এতো বেশি সংখ্যক আসন খালি থাকবে।