নিজস্ব প্রতিবেদক : নজরুল চেতনার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অগ্নিবীণা কেন্দ্রীয় সংসদ যশোর আয়োজিত বিদ্রোহী কবির মহাপ্রয়াণ দিবসের আলোচনা সভায় আলোচক ও অতিথিবৃন্দ বলেছেন বৃটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি ও তাদের দোসররা কেঁপে উঠেছিল বিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলামের অগ্নিঝরা লেখায়। আতঙ্কে কেঁপে উঠেছিল বৃটিশরাজের তখ্তে-তাউস। সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে তার ক্ষুরধার লেখনীতে। কাজী নজরুল ইসলাম সকল অনাচারের বিরুদ্ধে যুগে যুগে বিরাজমান। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদান ছিল অপরিসীম। তার অসংখ্য গানে কবিতায় অনুপ্রাণিত ও যুদ্ধের জন্য যুদ্ধংদেহি হয়েছিল বাঙালি। তাই নজরুলের জীবনাদর্শ অনুকরণ ও তার লেখা বেশি বেশি চর্চার বিকল্প নেই দেশ ও জাতি গঠনে।
মঙ্গলবার বিকেলে যশোর ইন্সটিটিউটের বি সরকার মেমোরিয়াল হলের দ্বিতীয় তলার নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন অগ্নিবীণার উপদেষ্টা কবি ও গীতিকার কাসেদুজ্জাামান সেলিম, শিক্ষাবোর্ডের সাবেক উপসচিব উপদেষ্টা আব্দুল খালেক, দৈনিক গ্রামের কাগজের বিশেষ প্রতিনিধি যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোর্শেদ আলম, যশোর নতুন খয়েরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এসএসম জিল্লুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন অগ্নিবীণার উপদেষ্টা বর্ষীয়াণ কলামিস্ট আমিরুল ইসলাম রন্টু, সাবেক অধ্যক্ষ সচীন্দ্রনাথ গাইন, কন্ঠশিল্পী ও জপ্রতিনিধি কুতুব উদ্দিন বিশ্বাস, নাট্যকার অশোক বিশ্বাস প্রমুখ।