বাগেরহাট প্রতিনিধি : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক ওয়াহিদ উজ্জামান বলেছেন, শুধু একটা দেশকে সুবিধা দিতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে রেল লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। মোংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এসব মূলত প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে খুশি রাখতে করেছে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার। আর বিগত ১৬ বছর ধরে খুলনা বিভাগ বৈষম্যের শিকার হয়েছে। সেই বৈষম্যকে নিরসন করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। খুলনা বিভাগ ও বাগেরহাট জেলাকে আধুনিক উন্নত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
মঙ্গলবার বিকেলে বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতার মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক ওয়াহিদ উজ্জামান এসব কথা বলেন।
বাগেরহাটের ছাত্র জনতার আয়োজনে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকরাম হোসাইন রাজ, আশরেফা খাতুন, জঘন্নাত বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু বকর খান, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাহানা ফারিনা, ঢাকা কলেজের মুইনুল ইসলাম, আমান উল্লাহ আল ফারাবি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বজিৎ দত্ত, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আফিয়া জান্নাত অনন্যা, শিক্ষার্থী তৌহিদ ইসলাম শুভ, বাবু খান, জান্নাত প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বাগেরহাটের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জেলার বিভিন্ন সমস্যা ও দাবির কথা তুলে ধরেন। মতবিনিময় সভায় সন্তান হারানোর বেদনা বর্ণনা করেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহিদ মোল্লাহাটের বিপ্লব শেখের বাবা পার ভেজ শেখ ও মা ইলিজা বেগম।
শহিদ বাবা পারভেজ শেখ বলেন, বিপ্লব আমার বড় ছেলে। গার্মেন্টস-এ চাকরি করেও প্রতিমাসে বাড়িতে কিছু টাকা দিত। এখন আমার সংসারের হাল ধরবে কে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
শহিদ জননী ইলিজা বেগম বলেন, আমার চার সন্তান। বড় সন্তান আন্দোলনে গিয়ে মারা গেছে। বড় সন্তান হারানোর যে কষ্ট এটা কাউকে বোঝানো যাবে না। আমি মা হিসেবে সন্তানের খুনিদের বিচার চাই।