মিরাজুল কবীর টিটো: যশোর শহরের ডেঙ্গু প্রতিরোধে পৌরসভার বিশেষ মশক নিধন অভিযানের উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনের পর শহরের সব ওয়ার্ডে ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হয় বলে দাবি করেছেন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা জায়েদ হোসেন। সেই সাথে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পৌরসভার সভাকক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে এ মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মখলেচুর রহমান জানান, শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌর এলাকায় নির্মাণ করা হয় ৩টি বড় ড্রেন। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে এ তিনটি ড্রেন তেমন পরিষ্কার করা হয় না। এর মধ্যে ভোলা ট্যাংক রোডে ও নওদাগা রোডের ড্রেন। ২০১৮ সালে নওদাগা রোডের ড্রেন ও ২০১৯ সালে ভোলা ট্যাংক রোডে ড্রে নির্মাণ করা হয়। এর আগে ২০১৭ সালে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শংকরপুর জিরো পয়েন্ট মোড় থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত পাইপ ড্রেন নির্মাণ করা হয়। অথচ নির্মাণের পর থেকে আজ পর্যন্ত পরিষ্কার করা হয়নি। পরিষ্কার না করার ফলে বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় শহরাঞ্চলে। এসব ড্রেন নির্মাণের পর থেকে মেয়র কাউন্সিলররা ড্রেন পরিষ্কার না করানোর কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, পৌরসভার মূল কাজ নাগরিকের সেবা দেয়া। কাজের মাধ্যমে সেবা দিতে না পারলে সেই কাজ করার প্রয়োজন নেই। নাগরিকের দুর্ভোগ লাঘবে স্থায়ী ব্যবস্থা করা। তাদের সেবা দেয়ার জন্য আন্তরিকতার সাথে পৌরসভার সকলকে কাজ করতে হবে। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করার মতো করতে হবে। সেই সাথে শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রম সঠিক ভাবে করতে হবে। লোক দেখানো কাজ করার দরকার নেই। এমন উন্নয়নমূলক কাজ করতে হবে যা নাগরিকের কল্যাণে আসে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাবিদ হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা জায়েদ হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু, সহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী মখলেছুর রহমানসহ কর্মকর্তা,কর্মচারীবৃন্দ।
এর আগে সকালে কালেক্টরেট চত্বরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পৌরসভার পক্ষকালব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের উদ্বোধন করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসান, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাবিদ হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা জায়েদ হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু, সহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী মখলেছুর রহমান সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু জানান, জলাবদ্ধতায় ডেঙ্গু মশার লার্ভা ধ্বংস করার জন্য টেমিফস ও বয়স্ক মশা মারার জন্য ম্যালাথিয়ান ওষুধ স্প্রে করা হবে। ৯টি ওয়ার্ডে ১৮টি স্প্রে মেশিন ও ২টি ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধন করা হবে। একটানা ১৫দিন মশক নিধনে কাজ করা হবে। একাজ শেষ হলে আবার ১৫ দিন করা হবে।