নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ^বিনির্মানে মান’ শীর্ষক আলোচনা সভা সোমবার দুপুর ১টায় যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, পণ্য বাজারজাত করার আগে পণ্যের ছাড়পত্র ও বিদেশে পাঠানোর সময় মান নির্ণয় করে বিএসটিআই। এর বাইরে অনেক পণ্য আছে মান নির্ণয়ের বাইরে। সে কারণে সক্ষতা অর্জন করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী যে সেবা পাওয়ার কথা, সেটা দেয়া হয় না। কারণ সেখানে অভিজ্ঞ টেকনিসিয়ান বা ডাক্তার থাকে না, নেই মেশিন। নন টেকনিসিয়ান দিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট দেয়া হয় অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাক্ষর করা প্যাডে। কারণ যে ডাক্তারের সাক্ষর করা প্যাডে রিপোর্ট দেয়া হয় সেই সাক্ষর ডাক্তার অনেক আগে করেছেন। রিপোর্ট তৈরি করার পর সাক্ষর করেনি। কারণ অনেক ডাক্তার আছে যারা সাক্ষর বাণিজ্য করেন। এজন্য রোগের সঠিক নির্ণয় করতে হবে। এ সকল দায়িত্ব রাষ্ট্রের উপর চাপিয়ে দিলে হবে না। নিজেও দায়িত্ব নিতে হবে। বিএসটিআইয়ের কাজে যাতে স্বচ্ছতা থাকে, বিতর্কের সৃষ্টি না হয় এজন্য মান সম্মত পণ্য তৈরি করতে হবে। তা না হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেশ পরিবর্তন হচ্ছে। মানুষ চায় দৃশ্যমান পণ্য তৈরি হোক। পাশাপাশি আমাদের নীতি নৈতিকতার পরিবর্তন করতে হবে। আমদের যদি পরিবর্তন না হয়, তাহলে আগামীতে চরম অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যের মান গুরুত্বপূর্ণ। সুস্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রত্যেক খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে হবে। মান সম্মত খাদ্য উৎপাদন হলে সুস্বাস্থ্যের মানুষ পাওয়া যাবে। আর ভেজাল খাদ্য খেলে মানুষ ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগে আক্রান্ত হবে। এ জন্য মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্য কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শাহীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য সভায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক (সিএম) প্রকৌশলী আসলাম শেখ, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর জেলা লৌহ ও সিমেন্ট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সাইফুল্লাহ, দৈনিক স্পন্দন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মাহাবুুব আলম লাবলু প্রমুখ।
বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক (সিএম) প্রকৌশলী আসলাম শেখ বলেন, খাদ্যে মান নিয়ন্ত্রণ ও কারচুপি রোধে এক বছরে ৪৪টি মোবাইল কোর্ট ও ৭৬টি সার্ভে পরিচালনা করা হয়েছে। যে সব পেট্রোল পাম্পে মেশিন ত্রুটির কারণে পেট্রোল কম দেয়া হয়। সে সব পাম্প সিলগালা করা হয়। মেশিন মেরামত করার পর আবেদন করলে সিলগালা খুলে দেয়া হয়।