নিজস্ব প্রতিবেদক : শার্শার চালিতাবাড়িয়া আরডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভুয়া নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকিরর অভিযোগে প্রধান শিক্ষক ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার কায়বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ।
আসামিরা হলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম, সহাকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, মৌসুমী খাতুন, হাসানুজ্জামান, ইদ্রিস আলী, সালেহা খাতুন ও কায়বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহেম্মদ টিংকু।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রুহুল কুদ্দুস ২০১১ সালের ইউনিয়ন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৫ সালের ৮ জুলাই চালিতাবাড়িয়া আরডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ ভিজিটে তিনি দেখতে পান বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ অপর শিক্ষকদের নিবন্ধন সনদ জাল। পরবর্তী পদক্ষেপ তিনি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ৭ জনকে উকিল নোটিশের মাধ্যমে শোকজ করেন। এর প্রেক্ষিতে ১৩ জুলাই আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে তিনি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। তখন নিজেদের চাকরি বাঁচানোর জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা কায়বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকুর শরণাপন্ন হন। ২০ জুলাই রাত ১১টার দিকে টিংকুর নেতৃত্বে রুহুল কুদ্দুসের বাগআঁচড়া কলেজ রোডের বাড়িতে চড়াও হন। এ সময় রুহুল কুদ্দুসের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জাল সনদপত্র নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। যে কারণে ওই সময় তিনি অভিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কারণে বর্তমানে পরিবেশ অনুকুলে হওয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।