নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর চেম্বার অব কমার্সের নবনির্বাচিত পরিষদ দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। চেম্বারের বিদায়ী প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম শাহীন শনিবার রাত ৮টার দিকে যশোর ক্লাবের কনফারেন্স হলে নবনির্বাচিত সভাপতি মিজানুর রহমান খানকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহমেদ, যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, জেলা পরিষদের নির্বাহী আছাদুজ্জামান, সিভিল সার্জন মাহমুদুর রহমান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, ব্যবসায়ী নেতা চিন্ময় সাহা, শাহজালাল হোসেন বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম রসূলসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন চেম্বার ব্যবসয়ীদের হাতে ছিলো না। গত সরকারের সময়ে ভোটবিহীন ১২ বছর ভঙ্গুর অবস্থা বিরাজ করেছে যশোর চেম্বার অব কমার্সে।
নির্বাচিতরা হলেন সভাপতি মিজানুর রহমান খান, সম্পাদক তানভিরুল ইসলাম সোহান, সহসভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সুজা, জাহিদ হাসান টুকুন, মঞ্জর হাসান মুকুল, যুগ্ম সম্পাদক মকসেদ আলী, এজাজ উদ্দিন টিপু, কোষাধ্যক্ষ শাহজাহান আলী খোকন। এছাড়া ১২ জন নির্বাহী সদস্য রয়েছেন।
বক্তারা বলেন, যশোর অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে রয়েছেন। কোনো নতুন বিনিয়োগ গড়ে ওঠেনি। আশা করি সরকারের সহযোগিতা পেলে সামনে যশোর হবে তৃতীয় বাণিজ্যিক রাজধানী।
গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার আনোয়ার হোসেন সাক্ষরিত এক পরিপত্রে ১৯ সদস্যর কমিটির পদ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। নির্বাচিতদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই পদ ঘোষণা করেছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
চেম্বার অব কমার্স সূত্রে জানা গেছে, গত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব ও আদালতে মামলা থাকার কারণে গত এক যুগ ধরে যশোর চেম্বারের নির্বাচন হয়নি। ১০ বছর ধরে প্রশাসক নিয়োগ করে ব্যবসায়িদের এই শীর্ষ সংগঠনটির কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া হচ্ছিল। ২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল যশোর চেম্বারের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জেলা বিএনপির তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের নেতৃত্বাধীন প্যানেল জয়ী হয়। ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। সেই থেকে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব পালন করেছেন একজন প্রশাসক। সর্বশেষ আগামী ৩০ নভেম্বর যশোর চেম্বারের নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ২৬ অক্টোবর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এদিন অন্য কোনো প্যানেল মনোনয়নপত্র জমা না দেয়ার কারণে মিজানুর রহমান খানের নেতৃত্ব প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন।
দীর্ঘদিন বাধাবিপত্তি ছাড়াই নির্বাচন করতে পেরেছি। জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে পেরেছি বলে জানান চেম্বারের বিদায়ী প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম শাহীন।