আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার গাজীপুর কুড়িগ্রাম ইসলামিয়া সিদ্দিকিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে মাদরাসার সভাকক্ষে দু’পক্ষের উপস্থিতিতে তদন্ত পরিচালনা করেন আশাশুনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান ও একাডেমিক সুপারভাইজার হাসানুজ্জামান।
এসময় মাদরাসার অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ও আব্দুল মালেকসহ ১০ অভিযোগকারী তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সামনে উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্য পেশ করেন। অভিযোগকারীরা তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে প্রমাণাদি উপস্থাপন করলেও অভিযুক্ত অধ্যক্ষ কোন প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারেননি। তদন্ত কার্যক্রম শেষে স্থানীয় শ শ মানুষের উপস্থিতিতে ১০ জন অভিযোগকারী আ. মালেক মল্লিক, কালামুজ্জামান, মাছুম বিল্লাহ, আতাউল্লাহ চৌধুরী, শহিদুল্লাহ, শামীম রেজা রাজু, মাগফুর রহমান, আলামিন ইসলাম, আ. রাজ্জাক, সাইদুল ইসলাম লিটু বিভিন্ন অভিযোগ করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগের বিষয়গুলো একদিনে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। প্রাথমিক তদন্তে বাদীপক্ষ অভিযোগের স্বপক্ষে যুক্তি ও প্রমাণাদি দাখিল করেছেন। অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান তদন্তের সময় স্বপক্ষে কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি। তাই তাকে ৪ দিনের মধ্যে স্বপক্ষের কাগজপত্রসহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে। বাদী পক্ষকেও তাদের অভিযোগের স্বপক্ষে কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে জানার চেষ্টা করা হলে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে তদন্ত স্থল পরিত্যাগ করেন।