বৈষম্যহীন ব্যবসায়ী সমাজ গড়ে তুলতে চাই : এজাজ উদ্দিন টিপু
নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ১২ ডিসেম্বর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি যশোর সার্কেলের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। দীর্ঘ ৭ বছরের আধার কাটিয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষায় রয়েছেন সংগঠনটির ৯৪৩ জন ভোটার। নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। চলছে শেষ সময়ের প্রচার প্রচারণা। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে কাসেদুজ্জামান সেলিম ও এজাজ উদ্দিন টিপুর নেতৃত্বাধীন সংস্কার ও উন্নয়ন পরিষদ ভোটারদের সাথে নির্বাচনী সভা ও মতবিনিময় করেছেন। শহরের আরএন রোড নতুন বাজার মাঠে এই মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ৭শ’র অধিক ভোটার ও ব্যবসায়ীরা।
মতবিনিময় সভায় সংগঠনটির সাবেক সভাপতি শেখ মনসুর আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি যশোর সার্কেলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতাউল্লাহ, সাবেক সভাপতি গোলাম ফারুক লিটন, গোলাম সরওয়ার কাদের, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিয়াজ উদ্দিন, আমির হোসেন আমু, কাজী শহিদুল ইসলাম, সংস্কার ও উন্নয়ন পরিষদের প্যানেল লিডার কাসেদুজ্জামান সেলিমসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তরা সংস্কার ও উন্নয়ন পরিষদের নিরঙ্কুশ বিজয় কামনা করে বলেন, বাংলাদেশের সব সেক্টরে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। আমরা চাই এই পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে নতুন বিজয় আসুক। বিগত দিনে যশোরের অনেক ব্যবসায়ী বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। তবে পরিবর্তী পেক্ষাপটে আমরা চাই ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যে যেন কোন বৈষম্য না থাকে। বিগত সাত বছর কোনো নির্বাচন হয়নি। যারা এতদিন চেয়ারে বসে ছিলেন তারা ফ্যাসিস্ট কায়দায় সংগঠন পরিচালনা করেছেন। আমরা চাই তরুণদের হাত ধরে এই সংগঠন আবারও উজ্জীবিত হয়ে উঠুক।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে সংস্কার ও উন্নয়নের পরিষদের প্রার্থী এজাজ উদ্দিন টিপু বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের উন্নয়নের পাশপাশি পরিবারের একজন সদস্য হয়ে ব্যবসায়ীদের সকল বিপদে পাশে থাকতে চাই। একটি বৈষম্যহীন ব্যবসায়ী সমাজ গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। দুই বছরের জন্য অন্তত একবার আমাদের সমর্থন করুন। আমরা ব্যবসায়ীদের সকল আশা পূরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী আমিরুজ্জামান, মাহমুদুর রহমান, মো. আজিজ মোল্লা, জাহিদ হোসেন, শেখ শওকত আলী রনি প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাসুদ উদ্দীন খান।
