কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: কোটচাঁদপুরে আমন মৌসুমে সরকারি খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ এক ছটাক ধান বা চাল ক্রয় করতে পারেনি। সরকার নির্ধারিত মূল্য ও বাজার মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য না থাকার কারণে এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও চালকল মালিকরা। খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ৫ ডিসেম্বর সারা দেশের মত কোটচাঁদপুর খাদ্য গুদামকে ধান চাল ক্রয়ের নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী এখানে ৪শ’ ৬৯ মেট্রিকটন ধান ৯৭ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সরকারিভাবে ধান প্রতিমনের মূল্য ১৩২০ টাকা ও চালের দাম ১৮৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু মাঠের ধান শতভাগ কাটা শেষ হলেও চাষি ও চালকল মালিকরা এ খবর লেখা পর্যন্ত (১১ ডিসেম্বর) কোনো ধান চাল খাদ্য গুদামে নিয়ে আসেননি। বর্তমানে বাজারে চাষিরা মোটা ধান নিখরচা ও কোনো ঝামেলা ছাড়াই বাড়ি থেকে ১৩০০-১৩৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। যে কারণে ১৩২০ টাকা দরে খাদ্য গুদামে ধান দিতে কৃষকরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। অন্যদিকে নিশ্চিত লোকসানের আশংকায় খাদ্য বিভাগের সাথে কোটচাঁদপুরের চালকল মালিকরা চুক্তিবদ্ধ হননি। বর্তমানে বাজারে মোটা চাল সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা মন বিক্রি হচ্ছে। অথচ সরকারিভাবে প্রতিমণ চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৮০ টাকা। কোটচাঁদপুর খাদ্য গুদামে ৫০০ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৪টি গুদাম রয়েছে। ৪টি গুদামে এখন মোট ১১শ’ মেট্রিকটন খাদ্য শস্য মজুদ আছে। কোটচাঁদপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মল্লিক মোহাম্মদ শরিফুল হাসান জানান, আমন মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলে খাদ্য বান্ধব ও ভিজিএফ কর্মসূচির চাল সরবরাহ করার পর গোডাউন খাদ্য শূন্য হয়ে পড়বে।