বিল্লাল হোসেন : যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সেই বহিরাগত কর্মচারীরা প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা হাসপাতালের নিজস্ব কর্মচারী না হলেও কার্ড দেখিয়ে বিতর্কিত কর্মকান্ডের সুযোগ পাচ্ছে। ভুল বুঝিয়ে রোগীকে ভাগিয়ে নিয়ে বেসরকারি হসপিটাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। কার্ড ঝুলানো দেখে রোগী ও স্বজনরা ভাবছেন তারা হাসপাতালের নিজস্ব কর্মচারী। সহজেই তাদেরকে বিশ্বাস করে বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। আর বহিরাগতরা নির্দিষ্ট সময়ে কমিশনের টাকা লুফে নিচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি হাসপাতালের বহিরাগত কর্মচারী হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান করেন। বর্তমানে সরকারি এই হাসপাতালে বহিরাগতদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫ জনে। তারা স্পেশাল কর্মচারী হিসেবে পরিচিত। বহিরাগতরা বহির্বিভাগ ও অন্তঃবিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। তাদের দাপটের কাছে হাসপাতালের নিজস্ব কর্মচারীরাও অসহায় হয়ে পড়েছেন। আবার অনেকেই চিকিৎসকের নির্দেশনাও মানছেন না। তারা সব সময় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থবাণিজ্যে ব্যস্ত রয়েছেন। অর্থ ছাড়া কোনো কাজই করছেন না তারা। কাজ করেই তারা বলেন আমরা বিনা বেতনে কাজ করি। এই বলেই টাকা দাবি করেন। দাবির চেয়ে টাকার পরিমান কম হলেই তার বেকে বসেন।
অভিযোগ উঠেছে, দায়িত্ব না থাকলেও তাদের অধিকাংশকে হাসপাতালে দেখা মেলে। তারা কার্ড ঝুলিয়ে গোটা হাসপাতাল দাপিয়ে বেড়ায়। হাসপাতালের কর্মচারি বলে ভুল বুঝিয়ে রোগীকে ভাগিয়ে নিয়ে যায় বেসরকারি হাসপাতালে।
রাজস্ব খাতের একাধিক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, কর্মচারী সংকট দেখিয়ে ওই ৯৫ জনকে কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। অথচ সরকারি এই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ১শ’ ২জন রাজস্ব ও ১শ’ ৫৩ জন কর্মচারী উন্নয়ন খাতে কর্মরত রয়েছেন। এখানে কোনো কর্মচারী সংকট নেই।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন মহলের সুপারিশ থেকে হাসপাতালে কাজের সুযোগ পেয়েছে এসব বহিরাগতরা। সুপারিশকারীরা আর্থিক সুবিধা নিয়ে বহিরাগতদের কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দেন। স্বেচ্ছাসেবি হিসেবে হাসপাতালে ঢুকে তারা নেমে পড়েছে প্রতারণায়। আর তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে দেশসেরা এই হাসপাতাল সুনাম হারাচ্ছে।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. হিমাদ্রী শেখর সরকার জানান, বহিরাগত কর্মচারীদের প্রতারণার বিষয়টি খোঁজ নেয়া হবে।