নিজস্ব প্রতিবেদক, মহেশপুর : জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট আমলে যা ঘটেনি তা এখন মহেশপুরে ঘটানো হয়েছে। জামায়াতের মহিলা কর্মীদের আলোচনা সভায় হামলা ও শ্লীলতাহানি ঘটানো হয়েছে। অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ মাঠে আসামি গ্রেফতারের দাবিতে মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহেশপুর উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ফারুক আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহিলা সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য ডা. আলমগীর বিশ্বাস, ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আলী আজম মোহাম্মদ আবু বকর, সেক্রেটারি আব্দুল আওয়াল, কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল হাই, নাটিমা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফরিক আহম্মেদ মাস্টার, উপজেলা সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন পলাশ, পৌর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির লুৎফর রহমান প্রমুখ।
এদিকে মঙ্গলবার ভোরে হামলার ঘটনার ৪ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি সোহেল রানাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটক সোহেল রানা বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভৈরবা গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন মৃধা জানান, এ ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার সকালে উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের কুল্লোপাড়ায় জামায়াতের নারী কর্মীদের আলোচনা সভায় কাঁচি ও বাঁশের লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালান বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলে অভিযোগ করেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ। এ সময় নারীকর্মীদের মারধর করা হয়। জামায়াত কর্মী হাসিনা খাতুন বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই দিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা জামায়াতের নেতাকর্মীরা। একই ঘটনায় পরের দিন সোমবার বিকেলে ভৈরবা বাজারে প্রতিবাদ সভা করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।