Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে ৩ হাজার  বিঘা জমির মাছ ও ফসল রক্ষা

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৫, ০৮:০৩:৫৭ পিএম

 

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের ৩ হাজার বিঘা জমির মৎস্য ঘের ও ফসল পানির অভাবে নষ্ট হচ্ছিল। বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর হস্তক্ষেপে বাদী-বিবাদী আপোষে বাঁধ অপসারণ করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল করেছেন। শনিবার সকালে ১০ টার দিকে মন্টু সাহেবের প্রজেক্টের পাশে হেলাল হোসেন তার দেয়া বাঁধ স্বেচ্ছায় অপসারণ করে নেন।

বাদী আরার গ্রামের আলহাজ মিয়ারাজ আলী জানান, এই খাল দিয়ে যদুয়ারডাঙ্গা, কাদাকাটির ৩ গ্রামের পানি ও ৩ হাজার বিঘা জমির মৎস্য ঘেরে পানি উঠানামা করে থাকে। বৈরমপুর গ্রামের হেলাল হোসেন তার মৎস্য ঘেরের কাছে আড়াআড়ি বাঁধ দিলে এলাকার মৎস্য ঘের শুকিয়ে মাছ নষ্ট ও মাছ চাষ বন্দের উপক্রম হয়। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের কাছে অভিযোগ করলে তিনি সেনা ক্যাম্পে পাঠান। সেনাবাহিনীর দ্রুত ও ন্যায়সংগত হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষের কথা শুনে আপোষ মীমাংসা হয়ে যায়। রোববার সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বাদী বিবাদী আপোষ হয়ে বাঁধ কেটে অপসারণ করলাম। এলাকার সকল মৎস্য ঘেরে পানি উঠানামা শুরু হবে। মৎস্য ঘের ও গ্রামের মাছ ও ফসল প্রাণ ফিরে পাবে।

তেঁতুলিয়া গ্রামের আলহাজ গোলাম মোস্তফা জানান, এই স্থান দিয়ে ৩৫ বছর কাটাখালী গেটের মাধ্যমে পানি উঠানামা করে আসছে। হেলালের বাঁধের কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সঠিক সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন দেখতে পেলাম।

বিবাদী হেলাল হোসেন বলেন, ৩ বছর আগে থেকে আমার সাড়ে ৮ বিঘা জমির মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে বাঁধ দিতে হয়। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ আমার কথা শুনে ন্যায্য মীমাংসা করে দেয়ায় আমরা আপোষে বাঁধ কেটে দিচ্ছি।

বাংলাদেশ সেনা বাহিনী আশাশুনি ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ক্যাপ্টেন নাঈম নির্দেশনায় সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আবু সাইদের সহযোগিতায় উভয় পক্ষের আপোষে বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে। ফলে এলাকার হাজার হাজার মানুষের পানির সমস্যার সমাধান সম্ভব হলো। বাঁধ অপসারণের পর এলাকাবাসীর মধ্যে সন্তুষ্টি দেখা গেছে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)