নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা এক রোগীকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তির পর টয়লেটে সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার ভোরে হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের টয়লেটে এ ঘটনাটি ঘটে। ওই নবজাতকের কান্না শুনে অন্য রোগীর স্বামী ও সেবিকারা তাকে উদ্ধার করেন। পরে রোগীকে লেবার ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামের রমেশ বিশ্বাস জানান, তার স্ত্রী রত্না বিশ্বাস (৩৬) ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে পেটের ব্যথা শুরু হলে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এ সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি করে মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন। শুক্রবার ভোরে রত্মা টয়লেটে যান। তিনি টয়লেটের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ করে টয়লেটের মধ্য থেকে নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনে তিনি ঘটনাটি ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সেবিকাদের জানান।
ওয়ার্ডে দায়িত্বরত এক সেবিকা জানান, তিনি ও অন্য রোগীর স্বজনরা গিয়ে দেখতে পান রত্মা টয়লেটের মধ্যে সন্তান প্রসব করেছেন। বদনাতে থাকা পানি ওই নবজাতকের মুখে ঢেলে দিয়েছে। এই অবস্থায় আর কিছু সময় থাকলে শ্বাসকষ্টে নবজাতকের মৃত্যু হতে পারতো। পরে ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক ওই প্রসূতিকে লেবার ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেন।
এক প্রশ্নে রোগীর স্বামী রমেশ বিশ্বাস জানান, তার স্ত্রীর মানসিক সমস্যা রয়েছে। ভর্তির সময় গর্ভে সন্তান থাকার কথা জরুরি বিভাগের চিকিৎসককে বলা হলেও রোগীকে মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত টয়লেটে সন্তান প্রসব করেছে তার স্ত্রী।
এই বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, ভর্তির সময় রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকের কাছে রোগের সঠিক বর্ণনা দিতে পারেননি। এমনকি রোগী অন্তঃসত্ত্বা সেটাও বলেননি। মানসিক সমস্যার কথা শুনে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রোগীকে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করে ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন।