নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর আইনজীবী সমিতির সদস্য হাদিউজ্জামান সোহাগের সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে সমিতি। সমিতির সিনিয়র আইনজীবীদের মধ্যস্থতায় ভুক্তভোগীকে টাকা ফেরত দিয়েছেন। ফলে সোহাগের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রত্যাহার করায় বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সমিতির অফিস সহকারী নুরুল ইসলাম।
জানা গেছে, যশোর আইনজীবী সমিতির সদস্য নব কুমার কুন্ডু দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় আটক ও কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। এ মামলায় জামিন করানোর জন্য তার স্বজনরা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহানুর আলম শাহিনের দারস্ত হন। অ্যাডভোকেট শাহিনে জুনিয়র হাদিউজ্জামন সোহাগের সাথে নব কুমারের জামিনের বিষয় নিয়ে স্বজনদের আলোচনা হয়। নব কুমারকে জামিন করাতে স্বজনরা হাদিউজ্জামান সোহাগকে ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এরমধ্যে সাধারণ সম্পাদক শাহিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নব কুমারের জামিনের ব্যাপারে আর কোনো পদক্ষেপ নেননি হাদিউজ্জামান সোহাগসহ তার সেরেস্তার লোকজন।
পরবর্তীতে নব কুমার জামিনে মুক্তি পেয়ে তার স্বজনদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। হাদিউজ্জামান সোহাগের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ নব কুমার কুন্ডু চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আইনজীবী সমিতিতে একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় এ অভিযোগের বিষয়য়ে তিন সদস্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এ কমিটি তদন্ত শেষে টাকা নেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিবেদনের নব কুমার কুন্ডুকে ৫ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার সুপারিশ করা হয়। এ রিপোর্টের উপর শুনানি শেষে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য নির্বাহী কমিটির সিদ্দান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট সোহাগকে নোটিশ দেয়া হয়। এরমধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু উভয়ের উপস্থিতিতে একটি মীমাংসা করে দেন। হাদিউজ্জামান সোহাগ সিনিয়র আইনজীবীদের সিদ্ধান্তে নব কুমারকে ৩ লাখ টাকা প্রদান করেন। নব কুমার কুন্ডু টাকা গ্রহণ করে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে বলে তার অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন জানান। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে হাদিউজ্জামান সোহাদের বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে আইনজীবী সমিতি।