নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানির কাছে ইজারা দেয়ার চক্রান্ত এবং রাখাইনে কথিত মানবিক করিডোর দেওয়ার ষড়যন্ত্রসহ সাম্প্রতিক সময়ের নানা বিষয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিবাদে নেমেছে যশোরের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
প্রতিবাদী গানে আর মশাল মিছিল করে প্রকম্পিত করেছে জেলার রাজপথ।
বুধবার সন্ধ্যায় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা আন্দোলন এর ব্যানারে এই কর্মসূচিতে হাজার প্রতিবাদী ছাত্র জনতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী অংশ নেয়।
টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা শেষে বের হয় মশাল মিছিল।
বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় সম্পদ আন্দোলন এর আহবায়ক অ্যাড মাহামুদ হাসান বুলুর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন বাম রাজনৈতিক দলের পক্ষে শাজাহান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক জন অ্যাড. বাসুদেব বিশ্বাস ও ছাত্রনেতা ইমরান খান। সংক্ষিপ্ত এই সমাবেশটি পরিচালনা করেন অ্যাড. আমিনুর রহমান হিরু।
এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, সকল অনাচার, অবিচার,দুর্নীতি, বৈষম্য দূর করে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। বিদেশিদের হাতে ট্রানজিট বা করিডোর দিতে আমরা আন্দোলন করিনি। নেতৃবৃন্দ বলেন, মব সন্ত্রাস, ধর্ষণ, লুণ্ঠন দিনে দিনে যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এইভাবে চললে আমরা আবারও সংগ্রামে নামতে বাধ্য হবো।
নেতৃবৃন্দ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিনষ্ট, ভাষ্কর্য ভাঙ্গা ও বাউল আখড়ায় হামলা বন্ধ করাসহ শাহাজাতপুর রবিঠাকুরের কাছারি বাড়ি ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষ্কর্য ভাঙার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান।
বিক্ষোভ সভার পূর্বে পরিবেশিত হয় শতকণ্ঠে ‘জাতীয় সংগীত’। তার পরে সমবেত কন্ঠে জেলার বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা পরিবেশন করে প্রতিবাদী সব সংগীত।