নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের বাঘারপাড়ায় স্টিলের বাক্সে লেপ-কাপড়ের নিচে লুকিয়ে রাখা সুচিত্রা দেবনাথ (৫৮) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী তপন দেবনাথ তাকে হত্যার পর সেখানে লাশ লুকিয়ে রাখে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তপন দেবনাথকে গ্রেফতার করেছে। বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ির ঘোষনগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাঘারপাড়া থানার ওসি তাইজুর রহমান। বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশের ময়নাতদন্ত যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে যশোর শহর থেকে বাড়িতে ফেরেন তপন দেবনাথ। এ সময় স্ত্রী সুচিত্রাকে না পেয়ে প্রতিবেশীদের বাড়ি খুঁজতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে আশেপাশের লোকজনের সন্দেহ হলে তারাও খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু কোথাও সন্ধান মেলেনি সুচিত্রার। পরে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে প্রতিবেশীদের উপস্থিতিতে তপন দেবনাথ নিজ ঘরের স্টিলের বাক্স খুলে সুচিত্রার লাশ দেখতে পান। লাশটি বাক্সের লেপ-কাপড়ের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এর আগে তার স্ত্রী নিখোঁজের নাটক করেছিলেন তপন দেবনাথ।
স্থানীয়রা আরও জানান, পারিবারিক কলহের জেরে তপন স্ত্রী সুচিত্রাকে হত্যার পর বাক্সে লাশ লুকিয়ে রেখেছে সন্দেহে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধারের পর তপন দেবনাথকে গ্রেফতার করে।
বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, মাথা ও মুখে আঘাত করে সুচিত্রাকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ ঘরের বাক্সে লুকিয়ে রেখে নিখোঁজের নাটক সাজানো হয়। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে স্বামী তপন দেবনাথকে গ্রেফতার করা হয়েছে।