নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের মণিরামপুরের শয়লাবাজার গ্রামে শুক্রবার ইকোর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়েছে। সেখানে শতাধিক দরিদ্র রোগী চোখের ফ্রি-চিকিৎসা ও ওষুধ নিয়েছেন। এদের মধ্যে থেকে ১০ জনকে পরবর্তীতে অপারেশন করে লেন্স লাগানো হবে।
উপজেলার হাজরাকাঠি গ্রামের বজলুর রহমান (৬০) জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু অর্থের অভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। গতকাল জানতে পারলাম বাংলাদেশ চক্ষু বিজ্ঞাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক চিকিৎসক যশোরের স্বনামধন্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহমুদুর রহমান ইকোর উদ্যোগে ফ্রি রোগী দেখবেন। সেখান থেকে বিসামূল্য চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়েছি। এজন্য ইকোর কর্তৃপক্ষকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারা যেন এই মহতী উদ্যোগ অব্যাহত রাখে। তাহলে সমাজের দরিদ্র মানুষরা উপকৃত হবেন।
সাহাপুর গ্রামের মোর্শেদ আলম (৪৫) জানান, তিনি অনেকদিন ধরে চোখেন গ্লুকোমা সমস্যায় ভুগছিলেন। গতকাল ইকোর ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পে গিয়ে চিকিৎসা ও ওষুধ গ্রহণ করেছেন।
শুক্রবার শয়লাবাজার গ্রামে দিনব্যাপী এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইকোর আয়োজনে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা পেয়ে খুশি এসব হতদরিদ্র পরিবারেরা। দিনভর চিকিৎসা দিয়েছেন বাংলাদেশ চক্ষু বিজ্ঞাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক চিকিৎসক যশোরের স্বনামধন্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহমুদুর রহমান।
আয়োজকরা জানান, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে এখানে শতাধিক চক্ষু রোগীকে বিনামূল্যে সেবা ও ওষুধ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে থেকে বাছাই করা ১০ জন রোগীকে পরবর্তীতে চোখের ছানি অপারেশন ও লেন্স স্থাপন করা হবে। এছাড়াও প্রাথমিক পর্বে রোগীদের বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা, পরামর্শপত্র, ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।
ইকোর প্রজেক্ট অফিসার আবদুল কাদের জানান, গত ২৭ জুন আমরা যশোর শহরের চাঁচড়ায় ইকো ট্রেনিং সেন্টারে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প করেছিলাম। পরবর্তীতে ১০ জনকে ফ্রি ছানি অপারেশন করে আমেরিকান লেন্স লাগানো হয়েছে।
ইকোর অর্থায়নে সমাজে পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্রদের সচেতন করতে এবং আর্থসামাজিকভাবে স্বচ্ছল করতে সংগঠনটি কাজ করছে। পাশাপাশি সমাজের হতদরিদ্র মানুষকে প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে যশোরের চাঁচড়াস্থ ইকো ট্রেনিং সেন্টার কাজ করছে। একই সাথে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ইকো জিএল ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানে এতিম শিশু ও হতদরিদ্ররা বিনামূল্য থাকা-খাওয়াসহ লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে।
পাশাপাশি সংস্থাটি দেশের বিভিন্ন জেলায় ফ্রি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যায়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চতর শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের মতো কার্যক্রম করে আসছে।