Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

মজুতখালী নদীর বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে তিন গ্রামের মানুষ

এখন সময়: সোমবার, ১৪ জুলাই , ২০২৫, ০৪:৪৪:১৭ এম

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগরে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের মজুতখালী নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে এমন শঙ্কায় তিন গ্রামের শত শত মানুষ দিন কাটাচ্ছেন আতঙ্কে। বাঁধ ভেঙে গেলে প্লাবিত হতে পারে দিঘলীয়ারাবাদ, জয়ারাবাদ ও রামনগর গ্রামের বসতবাড়ি, মাছের ঘের ও ফসলি জমি। যার কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ সংস্কার ও স্থায়ী সমাধানের দাবি স্থানীয়দের গ্রামবাসীর। তবে এ বিষয়টি নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভৈরব নদের ত্রিমোহনী থেকে বয়ে যাওয়া মজুতখালী নদীর পাড়ঘেঁষে বহু বছর আগে নির্মিত এই বাঁধটি বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিবছর বর্ষার পানিতে চাপে বাঁধে ফাটল দেখা দেয়, তবে এবার পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন। দিঘলীয়ারাবাদ গ্রামে বাঁধ ভেঙে যে কোন সময় পানি ঢুকে পড়বে। তাহলে গ্রামের শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়বে। বাঁধ রক্ষায় গ্রামবাসী মিলে নানা রকম পদক্ষেপ নিলেও তেমন কোন কাজে আসেনি। নিজেরা বাঁশ, কাঁটা ও মাটি ফেলে সাময়িক প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। স্থানীয়দের দাবি, শুধু অস্থায়ী সংস্কারে এ সমস্যার সমাধান হবে না। প্রয়োজন স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ এবং নদীভাঙন রোধে কার্যকর প্রকল্প গ্রহণ।
দিঘলীয়ারাবাদ গ্রামের গৃহবধূ রুনু বেগম বলেন, পানির স্রোত বাড়ছে, বাঁধ ভাঙলে ঘরবাড়ি নিয়ে কোথায় যাব? ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। একই গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক জানান, ফসলের জমি, ঘের সব ভেসে যাবে। কয়েক বছর ধরে বলছি, কেউ শুনছে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় বিপর্যয় হবে। ঘরবাড়ি, ঘের, ক্ষেত সব চলে যাবে পানির নিচে।
এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতিম শীল বলেন, ‘বষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।’

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)