সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : নিজের মাছের ঘেরে কাজ করার সময়ে সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছেন আলমগীর হোসেন (৩৫)। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আলমগীর হোসেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীদাঁড়ি গ্রামের শেখ আবু সাঈদের ছেলে। সোমবার ভোরে লক্ষ্মীদাঁড়ি সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে।
আহত আলমগীর হোসেনের ভাগ্নে বেল্লাল হোসেন জানান, মামার লক্ষ্মীদাড়ি সীমান্তের শূন্য লাইনে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে একটি মাছের ঘের রয়েছে। রোববার রাতে অনেক বৃষ্টি হওয়ায় তিনি ভোরে তার ঘেরে মাটি দিয়ে বাঁধ উঁচু করার জন্য যান। এসময় ভারতের ১০২ কল্যাণী বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ঘোজাডাঙ্গা ক্যাম্পের টহলদল কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। গুলিতে আলমগীর হোসেন মারাত্মক আহত হয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, অসংখ্য গুলির ছাররা আলমগীর হোসেনের মুখ, চোখ, কান, মাথা ও ঘাড়ে বিদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য রোগীর স্বজনদের বলা হয়েছে।
এদিকে, সীমান্তের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রোববার ভোরে কতিপয় চোরাকারবারীকে ঘোজাডাঙ্গা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা ধাওয়া করেন। বিএসএফ এর কবল থেকে ওই সমস্ত চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়। এসময় ঘেরে কাজ করার সময় বিএসএফ সদস্যরা আলমগীর হোসেনকে চোরাকারবারী ভেবে আটক করার চেষ্টা করলে তিনি বিএসএফ সদস্যদের সাথে তর্কে লিপ্ত হন। একপর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা তাকে শর্টগান দিয়ে গুলি করেন। এরপর গুলিবিদ্ধ আলমগীর হোসেন দৌড়ে পালানোর সময় রাস্তায় পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আলমগীরের পরিবারের সদস্যদের জানান।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক জানিয়েছেন, এঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে প্রতিবাদপত্র প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।