ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কোঁটচাদপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে প্রিয়া অধিকারী (২২) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় ওই দিন বিকেলে। প্রিয়া অধিকারী ওই গ্রামের দেব্রত অধিকারীর স্ত্রী ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খড়িখালী গ্রামের পলাশ অধিকারীর মেয়ে।
পুলিশ জানায়, পারিবারিকভাবে গত ৪ বছর আগে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খড়িখালী গ্রামের পলাশ অধিকারীর মেয়ে প্রিয়া অধিকারীর কোঁটচাদপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের নারান অধিকারীর ছেলে দেব্রত অধিকারীর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে নিলয় অধিকারী নামের এক পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করে। সম্প্রতি তাদের সংসারে পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে ঝগড়া বিবাদ চলতে থাকে। গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রিয়া অধিকারী মারা যায়। বিষয়টি ওই দিন দুপুরে আশপাশের প্রতিবেশীরা জানতে পেরে খড়িখালী এলাকায় তাদের আত্মীয়ের মাধ্যমে প্রিয়া অধিকারীর পরিবারের লোকজনকে জানান। পরবর্তীতে প্রিয়া অধিকারীর মরদেহ পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসলে তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য বুঝতে পারেন প্রিয়ার পরিবার।
দেব্রত অধিকারীর কাকা কার্তিক অধিকারী বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। আগে থেকে কোন পারিবারিক কলহ ছিল না তবে গত পরশু দিন তাদের গরুর খাবার দেয়া নিয়ে ঝগড়া হয়েছে।
প্রিয়া অধিকারীর কাকা পঙ্কজ অধিকারী অভিযোগ করে জানান, আমাদের মেয়ে প্রিয়াকে গলা টিপে হত্যার পর রশিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তাই যদি না হয়, তাহলে গলায় নকের দাগ কেনো থাকবে। এছাড়াও রশিতে ঝুলে মারা গেলে আমাদেরকে খবর দেবে তাও কেউ দেয়নি। আশপাশের প্রতিবেশিদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরে সেখানে গিয়েছি। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই এলাকার শ্মশানে সৎকার করার সিদ্ধান্ত নেয়। এখন পর্যন্ত তারা বিভিন্ন নেতাদের দিয়ে আমাদের সামনে কোটচাদপুর থানা ম্যানেজ করার চেষ্টা ও আইনগত সমাধান পেতে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে কোঁটচাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট এলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।