জামসিদুল হক মুনি, আলমডাঙ্গা : আলমডাঙ্গায় সারের কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেহানা পারভীন। তিনি দৈনিক স্পন্দন প্রতিবেদকের সাথে এ সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মুখে সার সংকটের কথা শোনা গেলেও খোঁজ নিয়ে বা সরজমিনে ডিলারদের সাথে বলে জানা যায় মুলত আলমডাঙ্গায় সারের কোন সংকট নেই। কিছু মানুষ মুখে মুখে সার সংকট সৃষ্টি করছে ব্যক্তিগত সুবিধার আশায়। আসল ঘটনা হচ্ছে, কিছু কৃষক সার মজুতের ইচ্ছাই ডিলারের নিকট বেশি পরিমান সার কেনার ইচ্ছা পোষন করছে। ডিলার সে ক্ষেত্রে পরিমানের অধিক সার বিক্রয় করতে রাজি না হলে সেটাকে সার সংকট আখ্যাা দিচ্ছে সার মজুতদারীরা। এবং কৃষদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে কদিন পরে আর সার পাওয়া যাবে না। এখনই সবাই সার কিনে আগামী মওসুমের জন্য মজুত করো। এই ভুয়া কথা বিশ্বাস করে সহজ- সরল চাষীরা আগামী মওসুমে আলু চাষের জন্য এখনই অতিরিক্ত সার ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন ডিলারের দোকান সহ কৃষি অফিসে ধর্ণা দিচ্ছে। এসব বিষয়ে উপজেলা সার মনিটরিং কমিটির সদস্যগন খবর নিয়ে দেখেছে ঐ সব কৃষকের ঘরে পর্যাপ্ত সার মজুত আছে। যেহেতু প্রত্যেক এলাকার উপসহকারী কর্মকর্তাগন জানেন কোন চাষীর কতটুকু জমি আছে এবং কি পরিমান সার লাগবে। এবং চাষীদের নাম সহ সার প্রদানের তালিকা সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিলারের কাছে পৌছে দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে ইচ্ছা করলওে যে কেউ ইচ্ছামত মজুতের উদ্যেশে সার ক্রয় করতে পারছে না। এইসব লোকজনই বিভিন্ন এলাকায়, চায়ের দোকানে বলে বেড়াচ্ছে ডিলাররা কৃষদের প্রয়োজনীয় সার দিতে পারছে না, আলমডাঙ্গায় সার সংকটে পড়েছে কৃষকরা। ইতিমধ্যে কয়েকজন ডিলারকে সার বিক্রয়ে অনিয়মের প্রমান মিললে মোবাইল কোর্টের আওতায় এনে জরিমানা করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেহানা পারভীন বলেন, আলমডাঙ্গায় সারের কোন সংকট নেই। তিনি প্রত্যেক ডিলারকে সরকারী নিয়ম মেনে সার বিক্রির নির্দেশ দেন। অন্যথায় আইনের আওতায় শাস্তি অনিবার্য। কৃষকদের উদ্যেশে তিনি বলেন, আপনারা নিরাশ বা হতাশ হবেন না। আলমডাঙ্গায় সারের কোনো সংকট নেই। কারো নিকট থেকে সরকারী দামের ১ টাকা বেশী দিয়ে সার ক্রয় করবেন না। নিয়মের মধ্যে থেকে সার ক্রয় করবেন। মজুতের আশায় বেশী দাম দিয়ে অতিরিক্ত সার ক্রয় করবেন না।