মিরাজুল কবীর টিটো: ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৫৮৯ কলেজে প্রথম পর্যায়ের আবেদনে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৯৩ হাজার ৫৭৫ শিক্ষার্থী। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর তৌহিদুজ্জামান। এরপরও খালি রয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৫৪ আসন।
বোর্ড সূত্র জানায়, একাদশ শ্রেণিতে প্রথম পর্যায়ে ভর্তির আবেদনের সময় ছিল ৩০ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট। ১২ আগস্ট আবেদন যাচাই,বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তির দিন। এরপর শুধুমাত্র পুনঃনিরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন করার সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয় ১৩ ও ১৪ আগস্ট। পছন্দক্রম কলেজ পরিবর্তনের সময় দেয়া হয় ১৫ আগস্ট। ২০ আগস্ট রাত প্রথম পর্যায়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
আবেদনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোর্ডের আওতাধীন ১০ খুলনা বিভাগের জেলার ৫৮৯ কলেজের ২ লাখ ২০ হাজার ১২৯ আসনে শিক্ষার্থীরা পছন্দের কলেজের ভর্তির আবেদন করে। আবেদন করা শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সুযোগ পেয়েছে ৯৩ হাজার ৫৭৫ শিক্ষার্থী। খালি রয়েছে ১ লাখ ২৬হাজার ৫৫৪ আসন। এর মধ্যে বিজ্ঞানে ৪৩ হাজার ৮৩১ আসনের মধ্যে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ১৮হাজার ৫৫৬ শিক্ষার্থী। খালি রয়েছে ২৫ হাজার ২৭৫ আসন। মানবিকে ১ লাখ ১৮ হাজার ২৮১ আসনের মধ্যে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৬৪ হাজার ৯৬৯ শিক্ষার্থী। খালি রয়েছে ৬৩ হাজার ৩১২ আসন। ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ৪৮ হাজার ১৭ আসনের মধ্যে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ১০ হাজার ৪৯ শিক্ষার্থী। খালি রয়েছে ৩৭ হাজার ৯৬৮ আসন।
ভর্তির সুযোগ পাওয়া ৯৩ হাজার ৫৭৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে বাগেরহাটের ৪৫ কলেজে ১৬ হাজার ১১০ আসনের মধ্যে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৬ হাজার ৩৪১ শিক্ষার্থী। খালি রয়েছে ৯ হাজার ৭৬৯ আসন। সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞানে ৯৩১ শিক্ষার্থী, মানবিকে ৪ হাজার ৪২৭ শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ৯৮৩ শিক্ষার্থী।
চুয়াডাঙ্গার ২৫ কলেজের ১১ হাজার ৮৩৮ আসনের মধ্যে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৫ হাজার ৬৭৯ শিক্ষার্থী। খালি রয়েছে ৬ হাজার ১৫৯ আসন। ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞানে ৮৫৮ শিক্ষার্থী, মানবিকে ৪ হাজার ৪৮৪ শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ৩৩৭ শিক্ষার্থী।
যশোরের ১১৮ কলেজের ৪০হাজার ৩৯৫ আসনে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ১৮ হাজার ৩৮১ শিক্ষার্থী। খালি রয়েছে ২২ হাজার ১৪ আসন। ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞানে ৪ হাজার ৭৭ শিক্ষার্থী, মানবিকে ১২ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ৪ শিক্ষার্থী।
ঝিনাইদহের ৭৫ কলেজের ২৮ হাজার ৩৯১ আসনে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ১১হাজার ৫০ শিক্ষার্থী। খালি রয়েছে ১৭ হাজার ৩৪১ আসন। সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞানে ১ হাজার ৪৬৩ শিক্ষার্থী, মানবিকে ৮ হাজার ৯৩৪ শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ৬৫৩ শিক্ষার্থী।
খুলনার ১০১ কলেজের ৩৯ হাজার ৩০৫ আসনে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ১৭ হাজার ৭৮২ শিক্ষার্থী।খালি রয়েছে ২১ হাজার ৫২৩ আসন। ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞানে ৫ হাজার ২০৮ শিক্ষার্থী, মানবিকে ৯ হাজার ৬২৭ শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ৯৪৬ শিক্ষার্থী।
কুষ্টিয়ার ৭০ কলেজের ২৫ হাজার ৬০০ আসনে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ১২ হাজার ৪৪৯ শিক্ষার্থী। খালি রয়েছে ১৩ হাজার ১৫১ আসন। ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞানে ২ হাজার ৫৯২ শিক্ষার্থী, মানবিকে ৮ হাজার ৩৩৭ শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ১হাজার ৫২০ শিক্ষার্থী।
মাগুরার ৩৭ কলেজের ১২ হাজার ৯৭০ আসনে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৪ হাজার ৬৮৯ শিক্ষার্থী। খালি রয়েছে ৭ হাজার ৬৮১ আসন। ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞানে ৭০২ শিক্ষার্থী, মানবিকে ৩ হাজার ৬৩৮ শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ৩৪৯ শিক্ষার্থী।
মেহেরপুরের ২০ কলেজের ৭ হাজার ৮৩০ আসনে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ হাজার ১৪৬ শিক্ষার্থী। খালি রয়েছে ৪ হাজার ৬৮৪ আসন। ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞানে ৪২৮ শিক্ষার্থী, মানবিকে ২ হাজার ৫৭৮ শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ১৪০ শিক্ষার্থী।
নড়াইলের ২৫ কলেজের ১০ হাজার ৯০ আসনের মধ্যে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ হাজার ৯৩৭ শিক্ষার্থী। খালি রয়েছে ৬ হগাজার ১৫৩ আসান। ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞানে ৫৩৩ শিক্ষার্থী, মানবিকে ৩ হাজার ২৬ শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ৩৭৮ শিক্ষার্থী।
সাতক্ষীরার ৭৪ কলেজের ২৭ হাজার ৬০ আসনে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ১০ হাজার ১২১ শিক্ষার্থী। খালি রয়েছে ১৬ হাজার ৯৩৯ আসন। ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞানে ১ হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থী, মানবিকে ৭ হাজার ৬১৮ শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ৭৩৯ শিক্ষার্থী।
শনিবার(২৩ আগস্ট) থেকে ২য় পর্যায়ের ভর্তির আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। পছন্দক্রম অনুযায়ী ১ম মাইগ্রেশনের ও ২য় পর্যায়ের আবেদনের ফলাফল প্রকাশ করা হবে ২৮ আগস্ট।